অপারেশনের পর পেটে কাঁচি রেখেই সেলাই!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৩ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ছবি সংগৃহীত
ফরিদুপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক তরুণীর অপারেশনের পর পেটের ভেতর কাচি রেখেই সেলাই করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের মার্চে একটি অপারেশন করা হয়। পেটের ব্যথার জন্য এক্সরে করা হলে বিষয়টি ধরা পরে। ভুক্তভোগী তরুণীর নাম মনিরা খাতুন (১৭)। সে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার ঝুটিগ্রামের খাইরুল মিয়ার মেয়ে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের মার্চে পেটের নিয়ে তরুণী হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন করান মনিরা। অপারেশনের কয়েক দিন পরেই মনিরাকে নগরকান্দা উপজেলার পৈলানপট্টি গ্রামে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পরও পেটে ব্যথা ছিল তার।
এর পর মনিরা অন্ত:স্বত্ত্বা হওয়ার পরে বাচ্চা নষ্ট হলে তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন স্বামী। এরপরেও বিভিন্ন গ্রাম্য চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু তার পেট ব্যথা কমেনি। গত দু’দিন আগে পেটে অসহনীয় ব্যথা উঠলে তাকে মুকসুদপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। ওই ক্লিনিকে এক্সরের মাধ্যমে চিকিৎসকরা দেখতে পান, মনিরার পেটের মধ্যে একটি ঝকঝকে কাঁচি আছে।
এ বিষয়ে মুকসুদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, তরুণী পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসলে আমরা তাকে এক্সরে করতে বলি। পরে এক্সরে রির্পোটে দেখা যায় পেটের ভেতরে কাঁচি। কয়েকজন চিকিৎসক বলছেন, গত বছরের ৩ মার্চ একটি অপারেশনের সময় ভুলে তার পেটের ভেতরে এ কাঁচিটি রেখে দেয়া হয়েছিল।
এদিকে ডাক্তাররা বললেন, কাঁচিটি দ্রুত অপারেশনের মাধ্যমে বের করতে হবে। ইতোমধ্যে কিছুটা মরিচা পরেছে। দ্রুত অপারেশন করে কাঁচিটি বের করা না হলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে বলে জানান তারা। তবে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না হওয়ায় এই অপারেশনে দেরি হবে বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। বিষয়টির সঠিক তদন্ত করার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেসিডেন্সিয়াল মেডিকেল অফিসার মোহাম্মাদ আসাদ উল্লাহ সুমন জানান, আগে আমাদের নিশ্চিত হতে হবে ঘটনাটি এই হাসপাতালে ঘটেছে কিনা। যদি রোগীর কাছে কোনো ডকুমেন্ট থাকে, তাহলে সেই কাগজপত্রসহ একটি আবেদন প্রশাসনিক ভবনে দিলে, হাসপাতাল প্রশাসন সার্জারি বিভাগের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইবে। তবে ওই তরুণীর পরিবার এখনও তাদের হাসপাতালে যোগাযোগ করেনি বলে জানানো হয়েছে।