avertisements 2

মুরাদের জন্য কেঁদে ভাইরাল যুবলীগ নেতা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৪৮ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা ডা. মুরাদ হাসানের জন্য অঝোরে কেঁদেছেন এমডি রানা সরকার নামে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা।

তিনি ১৫ মিনিটের ফেসবুক লাইভ করে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছেন। তবে, এই যুবলীগ নেতার কান্নাকাটি দেখে শান্তনার পরিবর্তে গালিগালাজ করছেন নেটিজেনরা।

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মাত্র ২২ ঘন্টার ব্যবধানে ওই ভিডিওতে লাইক পড়েছে ১৫ হাজার, কমেন্ট পড়েছে ৬ হাজার ৪০০, শেয়ার করেছেন ৭৪১ জন ও ভিডিওটি দেখেছেন প্রায় পৌনে দুই লাখ মানুষ।

এমডি রানা সরকার জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা যুবলীগের সদস্য। তিনি নিজেকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সক্রিয় কর্মী হিসেবেই পরিচয় তুলে ধরেছেন।

ওই ভিডিওটিতে তিনি বলেন, প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর প্রতিমন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়েছে আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী। দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা মুরাদের কাছ থেকে কোনো সুবিধা নিতে না পারলেও অসংখ্য নতুন কর্মী বাগিয়ে নিয়েছেন বহু সুযোগ সুবিধা।

তিনি বলেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন সময় ভুল বক্তব্য দিতেন। পাশে থাকা সুবিধাভোগী তৈলবাজ নেতাকর্মীরা ভুল ধরিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে আরও উৎসাহ দিয়েছে। ফলে ভুলভাল মন্তব্যে বার বার সমালোচিত হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

যুবলীগের এই নেতা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার নেতা এখন সবই হারিয়েছে। তার এমন দুঃসময়ে বর্তমানে কোনো নেতাকর্মী তার পাশে নেই৷ নেতার জন্য দোয়া চেয়ে আবারও কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

কিন্তু যুবলীগ নেতার আবেগ জড়ানো এই ভিডিও দেখে তাকে তৈলবাজ হিসেবেই মন্তব্য করে গালিগালাজ করছেন বেশীরভাগ নেটিজেনরা। অনেকে তাকে নিয়ে হাসি তামাশায় মেতে উঠেছেন।

আরমান আলী নামে একজন কমেন্ট করে লিখেছেন, এমন তৈলবাজকে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হোক। হায়রে অভিনয়! সাদ্দাম হোসেন নামে আরেকজন লিখেছেন, মুরাদকে আজীবনের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার চাই। আতাউর রহমান লিখেন, মুসলিম জাতির কাছে ভালো করে ক্ষমা চাইতে বলেন।

ফেসবুক লাইভে এসে কান্নাকাটি করার কারণ জানতে যুবলীগ নেতা রানা সরকারের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে সময়ের কন্ঠস্বর। প্রথমে তিনি ফোন রিসিভ করলেও পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন। সময়ের কন্ঠস্বর পরিচয় দিয়ে এসএমএস দিলেও আর সারা দেননি তিনি।

সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুরাদ হাসানের বক্তব্য সম্বলিত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।

তার ওই বক্তব্যের সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছিলেন নারী অধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সে সময় প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিও উঠেছিল।

এ ছাড়াও কিছুদিন ধরেই নানা বিষয়ে বিতর্কিত কথা বলে আলোচনা ও সমালোচনার শীর্ষে ছিলেন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান। সবশেষ এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ফাঁস হওয়া ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ইতোমধ্যে সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে ডা. মুরাদ প্রতিমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2