avertisements 2

‘আমি রুমমেট ছিলাম, এটাই ‘কি’ আমার অপরাধ!’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:২৮ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

আমি নির্দোষ। আ’মি নির্দোষ হবো।কেন আমার মৃত্যুদণ্ড হবে? আমার কি দোষ?? এভাবেই চি’ৎকা’র করে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন বাং’লা’দে’শ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রা’ব্বী হত্যাকাণ্ডের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মিজানুর রহমান মি’জা’ন। তিনি আবরারের রুমমেট

ছিলেন।শিবির সন্দেহে বু’য়ে’ট শিক্ষার্থী আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অ’ভি’যো’গ এনে নির্মম এবং নিষ্ঠুরভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে, যা দেশের মা’নু’ষ’কে ব্যথিত করেছে।বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দু’পু’রে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জা’ফ’র মো. কামরুজ্জামান আবরার হত্যা

মামলার রায় ঘোষণা করেন। আ’দা’ল’ত ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কা’রা’দ’ণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামির মধ্যে মিজানুর র’হ’মা’ন মিজান একজন।রায় শেষে যখন এজলাস থেকে কারাগারে নি’তে প্রিজন ভ্যানে দণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামিকে ওঠানো হচ্ছিলো ত’খ’ন হঠাৎ করেই চিৎকার করে

কান্নাজনিত কণ্ঠে মি’জা’ন বলছিলেন, ‘আমি আবরারের রুমমেট ছিলাম, এটাই আমার অ’প’রা’ধ। জজ রায় পড়া শেষে নিজে বলেছেন, মিজানের বি’রু’দ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাহলে কেন আমাকে মৃত্যুদণ্ড দে’ও’য়া হবে? সেখানে সাংবাদিক, আইনজীবীরা ছিলেন, সবাই শুনেছেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগে

কোনো প্রমাণ পায়নি। আমি নির্দোষ ছিলাম, আমি নি’র্দো’ষ হবো। তিনি কাঁদতে কাঁ’দ’তে আরও বলছিলেন, আমার পরিবারকে দেখার মতো কে’উ নেই। কি হবে এখন। আমি পরিবার নিয়ে বাঁচতে চাই। এ স’ম’য় আদালত প্রাঙ্গণে অনেকেই চোখের পানি মুছতে দেখা গে’ছে। সকাল থেকেই আদলত প্রাঙ্গণে

ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক’ড়া নিরাপত্তা।সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামিদের আ’দা’ল’তে’র গারদখানায় রাখা হয় এবং দুপুর ১২টা না’গা’দ এজলাসে উঠানো হয়।রায় শেষে একদিকে যেমন আবরারের বাবা ভি চি’হ্ন দেখান। অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত আ’সা’মি’দে’র আত্মীয়দের আহাজারি করতে দেখা যায়।এ সময় আদালত এ’লা’কা’য় আইনজীবী, সাংবাদিক ও আসামিদের আত্মীয় স্বজনে প্রায় পরিপূর্ণ ছিল।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2