avertisements 2

বড় ছেলের সংসারের হাল ধরতে কিডনি বিক্রির চেষ্টা!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:০৯ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে মানুষকে অনেক কিছুই বিসর্জন দিতে হয়। ‘বড় ছেলে’ নামে একটি নাটকে শিক্ষিত এক বেকার যুবকের প্রেমিকাকে না পাওয়ার গল্পটি হৃদয় ছুঁয়েছিল দর্শকের।  কিন্তু বাস্তবের কিছু ঘটনা নাটক সিনেমাকেও হার মানায়। তেমনি একটি ঘটনা সামনে এলো দরিদ্র পরিবারের বড় ছেলে বাপ্পী মোল্লার (২৫)। 

ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিলেন  বাপ্পী। বাবা তাকে মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় নিজের কিডনি বিক্রি করে মোটরসাইকেল কেনার সিদ্ধান্ত নেন। কিডনি বিক্রির জন্য তিনদিন ধরে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরছেন। কিডনি বিক্রির বিষয়টি বেআইনি জেনেও নিরুপায় হয়ে ক্রেতার খোঁজ করছেন বাপ্পী। 

রোববার (৭ নভেম্বর) বিকালে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে পুলিশ তাকে আটক করেছে। বর্তমানে তিনি যশোর কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। বাপ্পী মোল্লা জানান, চার-ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। বাপ্পী ও তার হতদরিদ্র বাবা এলাকার পরের জমিতে দিনমজুরের কাজ করেন। গত চার মাস আগে মাগুরা জেলার বারাসি গ্রামের শরীফ হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর কৃষি কাজ করে সংসার খরচ ভালোমতো চলছিল না। বউ পরামর্শ দেয় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতে। সেই পরামর্শেই বাপ্পী তার বাবার কাছে মোটর সাইকেল কেনার টাকা চায়। কিন্তু তাকে মোটরসাইকেল কিনে না দিয়ে তার ছোট ভাই সাগরকে মোটরসাইকেল কিনে দেয় বাবা। এতে গত (৪ নভেম্বর) বাবার সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। সেই দিনই তার বউ সুমাইয়া পারিবারিক কলহে বাবার বাড়ি চলে যায়। তার পর বাবার প্রতি রাগ করে মোটরসাইকেল কিনেই বাড়িতে ফিরবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেন।

গত তিনদিন ধরে ঝিনাইদহ ও যশোরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ঘুরে বেড়িয়েছেন কিডনি ক্রেতার খোঁজে। সেই ধারাবাহিকতায় রোববার সকাল থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ক্রেতা খুঁজতে থাকে বাপ্পী। এক পর্যায়ে তার চলাফেরা সন্দেহ হলে ওয়ার্ডবয়রা তাকে হাসপাতালের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের হাতে তুলে দেয়।

হাসপাতালের দায়িত্বরত কনস্টেবল সৌরভ বলেন, ‘ঝিনাইদহের এক যুবক নিজের কিনডি বিক্রি করবেন বলে ক্রেতা খুঁজে বেড়াচ্ছে জানতে পেরে তাকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।  যশোর কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল হোসেন ও ওসি (তদন্ত) শেখ তাসমিম আলমের দাপ্তরিক নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য সংযোজন করা যায়নি। আর বাপ্পীর পরিবারের কারও মোবাইল ফোন নেই দাবি করায় তার পরিবারেরও কোনো বক্তব্য সংযোজন করা যায়নি। 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2