বিনা ভোটে জিতে বেপরোয়া ইউপি চেয়ারম্যান
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ নভেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৩৪ এএম, ২৭ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদে নৌকা প্রতীকে বিনা ভোটে জিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন পরিষদকে নিজের কব্জায় রাখতে তার পছন্দের আরো সদস্যদের বিজয়ী করতে তিনি এখন মরিয়া। ইতিমধ্যে তার বড় ভাইকে বিনা ভোটে বানিয়েছেন ইউপি সদস্য। আর এ মিশন বাস্তবায়নে যাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন তাদেরই প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছেন হুমকি-ধামকি। এ অবস্থায় এক ইউপি সদস্য প্রার্থীর স্ত্রী তার স্বামী-সন্তানের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারন ডায়েরি করেছেন। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ নভেম্বর এ ইউনিয়নে বাকি সদস্যদের ভোট হবে।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে করা জিডিতে সয়দাবাদ ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবীদুল ইসলাম, তার ভাই বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল মোমিন ও আরেক ভাই আব্দুল মালেককে আসামি করা হয়েছে।
ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী ইউসুফ আলীর স্ত্রী ও জিডির বাদী আকলিমা খাতুন অভিযোগ করেছেন, ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় পঞ্চসোনা পুনর্বাসন এলাকায় প্রচারণার সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়েরা মিলে বাদীর স্বামীর প্রচারণায় বাধা দেন এবং তার সন্তান আব্দুল গাফফারকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। পাশাপাশি নির্বাচনে তাদের উৎখাত এবং বাড়িঘর আগুণ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন তারা।
এ বিষয়ে বাদীর ছেলে আব্দুল গাফফার বলেন, নবীদুল ইসলাম ও তার ভাইয়েরা বলে বেড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেছি। এই ইউনিয়নে তাদের পছন্দের বাইরে কেউ নির্বাচিত হতে পারবে না। এসব কারণে আমরাসহ অনেক প্রার্থীই এখন শংকায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা প্রদান, হুমকি-ধামকি ও এলাকা থেকে উৎখাতের অভিযোগ এনে সয়দাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুলসহ ৩ ভাইয়ের বিরুদ্ধে এক ইউপি সদস্য প্রার্থীর স্ত্রী বাদী হয়ে জিডি করেছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম বলেন, আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। সদস্যদের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, সেখানে আমি কোনো হস্তক্ষেপ করবো না। হুমকি-ধামকির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিডির তদন্তেই প্রমাণ হবে, ঘটনা সত্য নাকি মিথ্যা।
এর আগেও চেয়ারম্যান, তার ভাই ও বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট এবং প্রতারণার অভিযোগে ৮টি মামলা হয়েছে। চলতি বছরের ২৬ আগস্ট রাতে ইউনিয়নের হাটসারটিয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে ৮/১০টি বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়।