avertisements 2

আকিবের মাথায় ব্যান্ডেজে লেখা ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ নভেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫৪ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

 চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় (চমেক) এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিবের মাথা হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। মাথায় মারাত্মক জখম নিয়ে ভর্তি হন চমেক হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর ঠাঁই হয় আইসিইউতে। এর পর থেকে নিথর পড়ে আছেন আকিব। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে একটি ব্যান্ডেজ করা মাথায় সবারই চোখ আটকে যাচ্ছে মুহূর্তেই। আর সেই ব্যান্ডেজের লেখা দেখে কেউই চোখের পানি আটকে রাখতে পারবেন না। চিত্রটি চট্টগ্রাম মেডি‌ক‌্যালের অধ্যয়নরত ছাত্র মাহাদি আকিবের। যার মাথার ব্যান্ডেজে লেখা ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’। এর নিচেই বিপজ্জনক চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়েছে। আকিবের মাথার হাড় ভেঙে দিয়েছে তারই রাজনৈতিক মতাদর্শের অপর একটি পক্ষ। এই ঘটনার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক‌্যাল কলেজ। চমেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী জানান, আকিবের মাথার হারের বেশিরভাগ অংশ ভেঙে গেছে। মাথা অনেকটা থেঁতলানো। ব্রেনেও আঘাত হয়েছে। ব্রেন ড‌্যামেজ হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে মাথায় সফল অপারেশন হয়েছে। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক অবজারবেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে আকিব সুস্থ হয়ে ফিরবেন বলে চিকিৎসকরা আশা প্রকাশ করছেন।

গত শুক্রবার এবং শনিবার চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কয়েকদফা সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আকিবকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে চমেকের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- সাদ মোহাম্মদ গালিব (২১), আহসানুল কবির রুমন (২১), জাহিদুল ইসলাম জিসান (২১), মাহাদি বিন হাশিম (২৪), আসিফ বিন তাকি (২৫), ইমতিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (২১), মাহতাব উদ্দিন রাফি (২১), জাহিদুল আলম জিসান (২১), সৌরভ বেপারী (২১), মো. আনিস (২১), রক্তিম দে (২১), এইচ এম আসহাব উদ্দিন (২১), তানভীর ইসলাম (২১), নাজমুস সাদাত আসিফ (২১), এনামুল হাসান সীমান্ত (২১) ও রিজওয়ান আহমেদ (২১)।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে ছাত্ররা হোস্টেল ছেড়ে দিলেও কিছু ছাত্রী এখনও হোস্টেলে আছে বলে জানিয়েছেন চমেক অধ্যক্ষ শাহেনা আক্তার। তিনি বলেন, ‘যেহেতু ছেলেদের হলে সমস্যা, তাই সন্ধ্যার মধ্যে তাদের হল ছাড়ার নির্দেশনা ছিল। নির্দেশনা অনুযায়ী তারা হল ছেড়েছে। মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা ছিল, তবে ঘোষণা একটু দেরিতে হওয়ায় তারা থেকে গেছে। কলেজ যেহেতু বন্ধ, আজকের মধ্যে তারাও চলে যাবে।’ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গতকাল থেকে চমেক হোস্টেল ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহেদুল কবির। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘শুক্রবার রাতে মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলে দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। এর জের ধরে শনিবার সকাল ৯টার দিকে দুই পক্ষের আবারও সংঘর্ষ হয়। এতে মাহফুজুল হক, নাইমুল ইসলাম ও আকিব নামে তিনজন আহত হন।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2