avertisements 2

সরকারি হাসপাতালের আলমারি নিজের মনে করে বাড়ি নিয়ে গেলেন আয়া

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৪ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি আলমারি নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন সেখানকার আয়া ফিরোজা বেগম। হাসপাতালের তিনতলা থেকে রোগী বহনের ট্রলিতে করে সরকারি আলমারিটি নামিয়ে অটোতে করে তার বাড়িতে নিয়ে যান। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটলেও এ সময় হাসপাতালের কেউ এ কাজে তাকে কোনো বাধা দেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফিরোজা বেগমের বাড়ি ফরিদপুরের মুন্সিবাজার এলাকায়। তিনি আয়া পদে চাকরি করেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডের তৃতীয় তলার এক নম্বর ইউনিটিতে কর্মরত তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসকদের চেয়ার-টেবিল পরিষ্কার, চা-পানিসহ নাস্তা এগিয়ে দেওয়াই তার কাজ।

তবে আয়া ফিরোজা বেগমের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। লেবার ওয়ার্ড থেকে ছাড়পত্র পাওয়া রোগীদের ফিরোজাকে দিতে হয় টাকা। চাহিদামতো টাকা না দিলে ছাড়পত্র নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রোগীর স্বজনদের। এক বছর ধরে লেবার ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সরকারি আলমারিটি বহনকারী স্থানীয় হারোকান্দির এলাকার অটোচালক মো. রায়হান বলেন, ‘আমার অটোতে করে ফিরোজা বেগম হাসপাতালের আলমারিটি বাড়িতে নিয়ে গেছেন। হাসপাতাল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মুন্সিবাজারের তার বাড়িতে আলমারিটি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে অভিযুক্ত আয়া ফিরোজা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে হাসপাতালে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে মোবাইলটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান সহকারী (বড় বাবু) মো. শামসুল আলম বলেন, ‘আলমারিটা নেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। পরে শুনেছি। এটা সরকারি সম্পত্তি। এটা ইচ্ছা করলেই এভাবে নেওয়া যায় না। এটা চরম অন্যায়।’

এ বিষয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এ মুহূর্তে কিছুই বলতে পারছি না।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2