avertisements 2

পলাতক ই-কমার্সের মালিক, ফেসবুক লাইভে পুলিশ-সাংবাদিককে গালাগালি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ অক্টোবর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৩২ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

সারাদেশে এখন আলোচনায় একটাই নাম ই-কমার্স। একের পর এক ই-কমার্স সাইটের মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার। সম্প্রতি গ্রাহকের টাকা নিয়ে পণ্য না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আরেক ই-কমার্স সাইট ‘আনন্দের বাজার’-এর বিরুদ্ধে। ‘আনন্দের বাজার’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) আহমুদুল হক খন্দকারের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন একজন গ্রাহক। গত ৫ অক্টোবর রাতে গুলশান থানায় প্রতারণার অভিযোগ এনে মো. সুজন নামের একজন গ্রাহক এই মামলাটি করেন। 

শনিবার গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, আনন্দের বাজারের মালিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তার অবস্থান এখনো জানা যায়নি। 

পলাতক অবস্থায় এবার ফেসবুক লাইভে আসেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ এইচ খন্দকার মিঠু।

লাইভে তিনি অত্যান্ত ক্ষোভের সাথে ই-কমার্স ব্যবসায়ের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সাংবাদিক, পুলিশ ও ‘লোভী’ ভোক্তাদের দোষারোপ করেন। এ এইচ খন্দকার মিঠু সবশেষ তিন দিনে তিন বার ফেসবুক লাইভে আসেন। লাইভে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিকদের নিয়ে ক্ষোভের সাথে বিভিন্ন কথা বলেন।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনলাইনে ‘আনন্দের বাজারের সিইও সাড়ে ৩শ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা’ শিরোনামে একটি নিউজ করে। 

সেই নিউজের রিপোর্টারকে উদ্দেশ্য করে মিঠু লাইভে বলতে থাকেন,ওকে যদি আমি পেতাম তাহলে দুই গালে দুই থাপ্পড় দিতাম। তুই একটা(প্রকাশ যোগ্য না) ... বাচ্চা। তোর মতো ইয়েলো (হলুদ সাংবাদিক) জার্নালিস্টের কারণে আজ ই-কমার্সের এই অবস্থা। তুই কীভাবে বললি আমি সাড়ে ৩শ কোটি টাকা নিয়েছি। সাড়ে ৩শ কোটি টাকা কী তুই জানিস? এরকম আরও অনেক কথা তিনি লাইভে বলেন।

লাইভে তিনি একজন আইনজীবীর পূর্ণ নাম উল্লেখ না করে তার বিরুদ্ধে আনন্দের বাজার থেকে ২০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘ইউনুস, তুই ই-কমার্স নিয়ে রিট  করে দিস বেয়াদব? তোর মতো লোকের কারণে আজ ই-কমার্সের এই অবস্থা। তোরে দেখলে মনে হয় না ৫০০ টাকার কাপড় পরিস। তোরে আমি ২০ লাখ টাকা ক্যাশ দিয়েছি। এরপর কথা বলিস?

পুলিশের বিরুদ্ধে ১২ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ মিঠু বলেন, ওইদিন আমার পুলিশ ভাই এসেছিল, আমি ১২ লাখ টাকা ক্যাশ দিয়েছি। কই কেউ তো আমার পক্ষে কথা বলল না।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2