avertisements 2

ফাঁকা বাড়িতে ‘প্রেমিকাকে ডেকে আনার’ পর লাশ হলেন দুইজন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ অক্টোবর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩১ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

গাজীপুরের কালীগঞ্জের বক্তারপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে বুধবার রাতে প্রেমিক-প্রেমিকার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত হৃদয় গমেজ (২৫) উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়া গ্রামের মৃত সমর গমেজের ছেলে এবং ইভানা রোজারিও (২২) একই উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের বান্দাখোলা গ্রামের মৃত স্বপন রোজারিওর মেয়ে। মৃত হৃদয়ের হাত থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, প্রেমিক তার প্রমিকাকে খুন করে নিজেও আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে হৃদয় গমেজের (২৩) মা স্বর্ণা গমেজ স্থানীয় ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে যান জমি রেজিস্ট্রি করতে। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ডেকে আনেন প্রেমিকা ইভানা ভেনেডিট রোজারিওকে (২২)। সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রেমিক হৃদয়ের মা বাড়ি ফিরেন এবং এসে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ।

পরে ঘরের পেছনের জানালা দিয়ে দেখেন ঘরের মেঝেতে দুই জনের মরদেহ পড়ে আছে। ছেলের মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। জানা গেছে, হৃদয় গমেজ আশুলিয়ার একটি এনজিওতে কর্মরত ছিলেন। ইভানা উত্তরার একটি নার্সিং কলেজে পড়াশোনা করতেন।

ওসি মো. আনিসুর রহমান জানান, সকালে হৃদয়ের মা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলে কোনো এক সময় প্রেমিকা ইভানাকে বাড়ি ডেকে আনেন হৃদয় গমেজ। পরে সকাল থেকে সন্ধ্যার কোনো একসময় প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা শেষে, হৃদয় নিজেই নিজের পেটে ছুরি দিয়ে আঘাতে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে দেয়াল টপকে ঘরে প্রবেশ করে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন প্রেমিক হৃদয়ের পেটে একাধিক ছুরিকাঘাত ও হাতে ছুরি ছিল এবং প্রেমিকা ইভানার গলা, কান ও গালে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘরের মেঝেতে প্রেমিকার ওপর প্রেমিকের মরদেহ পড়ে ছিল। দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যা পরিবার মেনে নেয়নি বলে, হতে পারে সেই অভিমানে দুইজনে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2