দেশ-বিদেশে ভাইরাল হওয়া সেই ইমামের জন্য ভাসমান মসজিদ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ অক্টোবর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৮ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের মানুষের অসংখ্য ঘর-বাড়ি। শুধু তাই নয়, পানি বৃদ্ধির ফলে ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা বিলীন হয়ে যায় নদী গর্ভে। বিলীন হয়নি শুধু হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদটি। নদীর পানির জোয়ার এলেই সাঁতরে মসজিদে যেতে হয় ইমাম হাফেজ মইনুর রহমানকে। উপায় না দেখে সাঁতরেই মসজিদে নামাজ ও আজান দিতেন ইমাম।
এ নিয়ে গেল ক’সপ্তাহ আগেই তার এমন একটি ভিডিও সারাদেশসহ বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হন ওই মসজিদের ইমাম হাফেজ মইনুর রহমান। । এ বিষয়টি নজরে আসে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের। তারা মসজিদের ইমামকে নৌকা ও নগদ টাকা উপহার দিয়ে সহায়তা করেছে।
এরপর পানিতে ডুবে থাকা সেই মসজিদের পাশে দেশের প্রথম এবার ভাসমান জামে মসজিদ চালু হলো। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) জোহরের নামাজের সময় ভাসমান মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। ভাসমান মসজিদটির উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন। ওই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে চট্রগ্রামের আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাসমান মসজিদটি ইমাম হাফেজ মইনূর ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়াও মসজিদে রয়েছে আজান দেওয়ার জন্য মাইক সাউন্ড সিস্টেম। মসজিদে ৮ টি কাতারে ৫৫ থেকে ৬০ জন মুসুল্লি এক জামায়াতে নামাজ আদায় করতে পারবেন। ভাসমান মসজিদের নৌকাটির দৈর্ঘ্য ৫০ ফুট ও ১৬ ফুট প্রস্থ। মসজিদটিতে রয়েছে পানির ট্যাংক, ট্যাব সিস্টেম ওযু করার সুবিধা। রয়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। ভাসমান মসজিদটি যাতে স্থির থাকে সে জন্য নৌকার দুই ধারে ২৫০ লিটারের ৪ টা করে ৮ টি ড্রাম বাঁধানো হয়েছে।
মসজিদের ইমাম মইনুর রহমান জানান, জামে মসজিদটি এখন নামাজ পড়ার সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর দেওয়াল ও মেঝে সম্পূর্ণ ফেটে গেছে এবং চারপাশ দিয়েই খাল উঠে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই ভাসমান এই মসজিদেই নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান- মসজিদটি আরো সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। উপকূলীয় প্রতাপনগর ইউনিয়নটি দীর্ঘ দুই বছর ধরে খোঁলপেটুয়া নদীর জোয়ার ভাটায় প্লাবিত অবস্থায় রয়েছে।