avertisements 2

সিআইডি’র তদন্ত প্রতিবেদন

স্ত্রী পুলিশের সঙ্গে তালাক জালিয়াতি স্বামী পুলিশের।

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩০ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

পুলিশ সার্জেন্ট স্বামী-স্ত্রী দু’জনই । কিন্তু স্ত্রীকে নির্যাতন, যৌতুক দাবি ও ভুয়া তালাকনামা দেখিয়ে অন্য নারীকে বিয়ে- এমন সব অভিযোগ মামলা দায়ের হয় সার্জেন্ট ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে। নারী নির্যাতন-প্রতারণা এবং তালাকনামা জাল জালিয়াতির কারণে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন এক নারী সার্জেন্ট। এর আগে পিবিআই ওই নারী সর্জেন্টের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই। এরপরই আজ মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিআইডি। সিআইডি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

গত বছরের ১ আগস্ট বিয়ে হয় সার্জেন্ট ওমর ফারুককে বিয়ে করেন আরেক নারী পুলিশ সার্জেন্ট। সে বিয়ে সুখের হয়নি। ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর এবং এ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্যাতন, যৌতুক দাবি ও প্রতারণার অভিযোগে ২ টি মামলা করেন ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে। বিচ্ছেদ না হলেও ভুয়া তালাকনামা তৈরি করে আবারও বিয়ের অভিযোগও করেন, ওই নারী সার্জেন্ট।
বাদির আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, আমার মক্কেলের স্বামী ওমর ফারুক পরকীয়া ছাড়েননি বিয়ের পরও। উনি এসব অপকর্ম করতে গিয়ে বারবার ধরা পড়ে যাচ্ছিলেন। তখন বাধ্য হয়েই বাদি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করেন। বিভিন্ন ধরণের দূর্ব্যবহার, টাকা-পয়সা নিয়ে নেয়ার মত কাজও করছিলেন ওমর ফারুক। মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই। তদন্তে ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার সব অভিযোগের সত্যতা পান তদন্ত কর্মকর্তারা। এরপর জালজালিয়াতির মামলাতেও আজ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পিবিআই। সেখানে সার্জেন্ট ওমর ফারুক এবং সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত থাকা শফিকুল ইসলাম এবং সানাউল্লাহ নামের দুইজনকে দোষী উল্লেখ করা হয়েছে।

আগের মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেছিলেন, এই অভিযোগ আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি, এটা প্রমাণিত যে সে (ওমর ফারুক) নির্যাতন করেছে, যৌতুক দাবি করেছে। আমদের তদন্তে বাদির দাবি সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।

পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় সার্জেন্ট ওমর ফারুক নির্যাতন করেছেন, যৌতুক চেয়েছেন এটি সত্য, তালাক না দিয়ে আবার বিয়ে করেছেন এটাও সত্য। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আদালতে। আগামী সপ্তাহে এর ওপর শুনানি হবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এ। ভুক্তভোগী ওই নারী পুলিশ সার্জেন্ট ন্যায়বিচার চান যে কোনো মূল্যে।

ভুক্তভোগী নারী পুলিশ সার্জেন্ট ফোনে জানান, একজন আইনের লোক হয়ে এত বড় প্রতারণার শিকার হয়েছি, নির্যাতিত হয়েছি। আমি অবশ্যই ন্যায় বিচার চাই।

তবে, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বললেন, তিনিই পুরুষ নির্যাতনের শিকার। অভিযুক্ত পুলিশ সার্জেন্ট ওমর ফারুক ফোনে বলেন, ও (বাদি) একটার পর একটা মামলা-হয়রানি করে যাচ্ছে আমার বিরুদ্ধে। তাকে আমি যৌতুকের জন্য কোনো চাপও দেই নাই, বরং আমি পুরুষ নির্যাতনের শিকার। বাংলাদেশে পুরুষ নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন থাকলে আমি আরও আগেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2