যুবলীগ নেতার কাছে সন্তানের পিতৃপরিচয় চান যৌনকর্মী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ অক্টোবর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৫ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের বহিঃস্কৃত সাধারণ সম্পাদক জুলহাস মোল্লার বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এবং সন্তানের পিতাপরিচয়ের দাবি জানিয়েছেন এক যৌনকর্মী। তিনি গত ২৮ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দ উপজেলা বাংলাদশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদক বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছে।
ওই অভিযোগে যৌনকর্মী বলেন, ১০ বছর আগে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে আসে। এখানে আসার পর থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার ভালোভাবে জীবন-যাপন হচ্ছিল। এরমধ্যে তৎকালীন ক্ষমতাসীন নেতা মরহুম নুরুল ইসলাম মন্ডলের ভাগ্নে জুলহাস মোল্লা সাধারণ সম্পাদক পদে আসে। পদে আসার পর থেকে তার উপর নানা প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে প্রেম তারপর বিয়ে করে।
বিয়ের এক বছরের মাথায় জুলহাস মোল্লা ও তার একটি পুত্র সন্তান হয়। এরমধ্যে নানা কৌশলে জুলহাস আমার কাছ থেকে ব্যবসা ও রাজনীতির কথা বলে ১৫লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার পর থেকে অন্যায়, অবিচার, যৌতুকসহ নানা রকম অত্যাচার শুরু করে এবং জোড়পুর্বক অনিচ্ছা থাকা সত্বেও তালাক দেয়। এরফলে জীবিকার তাগিদে আবার যৌন পেশায় লিপ্ত হই।
এতাদিন তাদের ক্ষমতার কারণে কোন অভিযোগ করার সাহস পায়নি। সম্প্রতি তাকে পদ থেকে বহিস্কার করার খবর পেয়ে অভিযোগ করার সাহস পাই। এ কারণে তার কাছে থেকে নেয়া নগদ অর্থ ও সন্তান পিতাপরিচয় দেবার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদক বরাবর আবেদন করেন।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের বহিস্কৃত (সাময়িক) সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুলহাস মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। কোন পক্ষের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাকে ফাঁসাতে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ইউনুছ হাসান মোল্লা বলেন, আমাদের নিকট এক যৌনকর্মী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি আগামী সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।