avertisements 2

পদ্মার ভাঙনে মুহূর্তে বিলীন স্কুলটি

পদ্মাপাড়ের সেই স্কুলটির শেষ রক্ষা হলো না

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:০৪ এএম, ২৬ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চরসিলিমপুর গ্রামে পদ্মা নদীতে ১০০ মিটার এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চরসিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, স্কুলের ভবন এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। বিদ্যালয় ভবনটি নদীগর্ভে চলে গেছে। কিছু সময় পর পর ইট, সুরকি, জানালা ভেঙে পড়ার শব্দ হচ্ছে। বিদ্যালয়ের মাঠ ভর্তি মানুষ। কেউ কেউ আহাজারি করছে। কেউ মুঠোফোন দিয়ে ভাঙনের ছবি তুলছেন। কেউ ভিডিও করছে। বিদ্যালয় মাঠের পাশে বাঁশ থেকে বাঁশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। একটু পর পর নদীর পাড় ভেঙে পড়ছে। বিকেল ৪টার দিকে বালু ভর্তি বস্তা ফেলার কাজ শুরু হয়।

চরসিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সবদুল হোসেন বলেন, এখানে আগে অনেক বসতি ছিল। ১৯৮৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু নদী ভাঙনের ফলে অনেকেই বসতভিটা হারিয়ে অন্যত্র চলে যায়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফলতির কারণে বিদ্যালয়টিও নদীগর্ভে চলে গেল। এই এলাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে গেছে। কারণ আশেপাশে আর কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফিরোজা খাতুন জানায়, এই মাঠে সে খেলাধুলা করে। স্কুলটি নদীতে চলে গেল। বিদ্যালয়ের মাঠও নদীতে চলে যাচ্ছে। এখন আর আমরা এই বিদ্যালয়ের পড়তে পারব না। আমার খুব খারাপ লাগছে।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, পদ্মার তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় সাড়ে চার কিলোমিটার এলাকায় পদ্মা নদীর তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৭ কোটি টাকা। এছাড়া একই এলাকায় ড্রেজিং করা হবে। ড্রেজিংয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৫ কোটি টাকা। কাজের দায়িত্ব পেয়েছে মেসার্স দুলাল ব্রাদার্স লিমিটেড (ডিবিএল)। কাজ সম্পন্ন করার মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের ৩১ মে। কাজের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। অপরদিকে গোদার বাজার এলাকায় দেড় কিলোমিটার এলাকা সংস্কার কাজ ২০১৯ সালে শুরু হয়। কাজ সম্পন্ন হয় চলতি বছরের ৩১ মে। ২৭ জুলাই থেকে এই এলাকায় ভাঙন শুরু হয়।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, আমরা আগে থেকেই এখানে কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু বিদ্যালয়টি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। বালুর বস্তা ফেলা শুরু হয়েছে। ভাঙন যাতে আর বৃদ্ধি না পায় এবং এই এলাকা রক্ষা পাওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2