১৩ লাখ টাকা দরকার প্রতিস্থাপন ও সুচিকিৎসায়
স্ত্রী কিডনি দান করেও বাঁচাতে পারছেন না স্বামীকে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৫০ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
এক বছর আগে কিডনি রোগে আক্রান্ত জুয়েলের বর্তমানে দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তার স্ত্রী মোছা. শাহানাজ পারভীন (২৫) একটি কিডনি স্বামীকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপরও টাকার অভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, জুয়েল রানা (২৫) তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ সদর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মো. মন্টু খন্দকারের ছেলে ও মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের ইংরেজি বিভাগের (২০১৪-২০১৫) শিক্ষাবর্ষের একজন মেধাবী ছাত্র। বর্তমানে জুয়েলের ঢাকার সিকেডি এন্ড ইউরোলজি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন। পাশাপাশি ঢাকার কেসি হাসপাতালে সপ্তাহে দুদিন কিডনি ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে।
জুয়েলের বাবা মো. মন্টু খন্দকার (৫২) বলেন, চিকিৎসা করে ছেলেকে সুস্থ করতে পারেননি। এরই মধ্যে চিকিৎসার ব্যয় বহন করে সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে কিডনি প্রতিস্থাপনসহ উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। অন্যথায় তার ছেলেকে বাঁচানো সম্ভব হবেনা।
জুয়েলের স্ত্রী মোছা. শাহানাজ পারভীন বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় দুজনের কিডনি ম্যাচিং হয়েছে। ফলে নিজের একটি কিডনি তিনি স্বামীকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপন ও সুচিকিৎসা জন্য ১৩ লাখ টাকার মতো ব্যয় হবে। তিনি সকল হৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তির কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন। জুয়েল ও শাহানাজ দম্পতির ঘরে দুবছরের ফুটফুটে কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাবুল শেখ বলেন, বিষয়টি অতীব জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নিজেও জুয়েলের হয়ে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন।