নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে তিন যুবকের মৃত্যু
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৩৫ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নরসিংদীতে পৃথক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে তিন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনা নরসিংদী সদর ও পলাশের। বুধবার সন্ধ্যায় নরসিংদী পৌর এলাকার ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথের বিলাসদী-তরোয়া এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে ফেনীর দাগনভূঁইয়া মোহাম্মদপুর এলাকার আসাদুজ্জামান নান্নুর ছেলে কাজী নজরুল ইসলাম বাবর (২১), একই এলাকার মো. হানিফ খানের ছেলে মোর্শেদ খানের (১৭) মৃত্যু হয়। এ ছাড়া বুধবার দুপুরে পলাশের জিনারদী রেলস্টেশন এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে সোহাগ মিয়া (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ইমায়েদুল জাহেদী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নরসিংদী রেল গেটে নিহতরা মামাতো ফুফাতো ভাই। তারা নরসিংদীতে বসবাস করে একটি লুঙ্গির ফ্যাক্টরিতে প্রিন্টিং ও প্রসেসিং সেকশনে কাজ করতেন। পলাশে নিহত সোহাগ মিয়া নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী পৌর এলাকার খিলগাঁও গ্রামের আইয়ুব আলী মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমায়েদুল জাহেদী জানান, দুই যুবক কথা বলতে বলতে তরোয়া-বিলাসদী এলাকায় রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। তখন কানে হেডফোন থাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের শব্দ শুনতে না পারায় ট্রেনে কাটা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। তখন স্থানীয়রা তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি। খবর পেয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে ওমর ফারুক নামে তাদের এক স্বজন ও সহকর্মী ফাঁড়িতে গিয়ে দুই লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন।
অপরদিকে পলাশে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর মহানগর এক্সপ্রেস চট্টগ্রামে যাচ্ছিল। জিনারদী রেলস্টেশন এলাকা অতিক্রম করছিল ট্রেনটি। তখন সোহাগ মিয়া হেঁটে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। তখন ট্রেনে কাটা পড়ে তার মাথা থেঁতলে যায় ও পা কেটে যায়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।