avertisements 2

ক্লোজআপ তারকা সাজুর হামলায় আহত মা

ক্লোজআপ তারকা সাজুর হামলায় আহত মা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২৬ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

জমির অংশ ও টাকা চেয়ে না পেয়ে নিজ মায়ের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে রিয়ালিটি শো ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সাজু আহমেদের বিরুদ্ধে। ছেলের হামলায় গুরুতর আহত সাজুর মা রানীজান বেগম (৬৫) বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার কপালে বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে বলে জানান চিকিৎসক।
গত শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নে সাজুর নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রানীজান বেগমের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে টাকা এবং জমির অংশ দাবি করে নানা রকম মানসিক অত্যাচার করে আসছে সাজু। কখনও চেয়ার কখনও ইট আবার কখনও লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে। শুক্রবার আবারও টাকা দাবি করে সাজু। না দিলে জমির অংশ দাবি করে। কথাকাটির এক পর্যায়ে  রানীজান বেগমকে লক্ষ্য করে প্রথমে ইট দিয়ে ও পরে ধারালো চাকু দিয়ে ঢিল ছোড়েন সাজু। এ সময় চাকুর আঘাতে বাঁ চোখের ওপর কপালে অংশ কেটে যায় তার। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রানীজান বেগম আরো বলেন,‘আমি তার অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি। সে আমার কোলের সন্তান। সে আমাকে আর মা বলে পরিচয় দেয় না। ওর জন্য আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি ওর জন্য ভিক্ষা করেছি। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কুড়িগ্রামবাসী সবাই জানে। অঝোঁড়ে কাঁদতে থাকেন রানীজান বেগম। সে আসন্ন ইউপ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবে বলে জমির ভাগ চাচ্ছে এবং এজন্য প্রায়ই সে আমাকে অপদস্ত করে আসছে। ২০০৮ সালে তার ক্লোজআপ ওয়ান তারকা হওয়ার জন্য এসএমএসের পেছনে জমি বন্ধক রেখে লাখ লাখ টাকা শেষ করছি। এখন তার নিজের জমানো অর্থ দিয়ে নির্বাচন করতে বলেছি এবং পরে জমির অংশ দিতে চেয়েছি। কিন্তু সে নির্বাচনের আগেই জমির অংশ নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
সাজু আহমেদ ২০০৮ সালে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি আয়োজিত রিয়ালিটি শো ক্লোজআপ ওয়ান এ দ্বিতীয় রানারআপ নির্বাচিত হন। উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের তেলি পাড়া গ্রামের মৃত আজগার আলী ও রানীজান বেগমের কনিষ্ঠ পুত্র ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত তারকা সাজু আহমেদ বলেন, আমি জমির অংশ দাবি করেছি বলে আমার মা ও বড় বোন আমাকে ফাঁসানোর পাঁয়তারা করছেন। আমার বোনের ছোড়া ঢিল আমাকে না লেগে মায়ের মাথায় লেগে মাথা ফেটে যায়।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2