৩ যুগের দাম্পত্য জীবন ৩৩ ঘণ্টায় অবসান, পাশাপাশি দাফন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ আগস্ট,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:১৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
হাসপাতালে নেওয়ার পথে করোনা উপসর্গে মারা গেছেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুস ছত্তার জলিল। চাকরি থেকে অবসরের ঠিক এক বছর পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি। স্বামীর লাশ দাফনের পর করোনা উপসর্গে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্ত্রী ফারহানা আক্তার রিমি। ওই রাতেই তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে।
স্বামীর মৃত্যুর ৩৩ ঘণ্টা পর স্ত্রীও মারা যান। এর মাধ্যমে তাদের তিনযুগের বেশি সময়ের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটলো। তবে মৃত্যুর পর তাদের নিথর দেহ পাশাপাশি কবর দেওয়া হয়। মৃত স্বামী-স্ত্রী বরিশাল সদর উপজেলার কর্নকাঠী গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে তারা দুজন জ্বরে ভুগছিলেন। জ্বরের পাশাপাশি তারা আব্দুস ছত্তার জলিল শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলের দিকে তাকে শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি বিভাগের কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে বিকেল ৪টায় মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন রাত আনুমানিক ৩টার দিকে তার লাশ দাফন করা হয়।
এর কিছু সময় পরে নিহতের স্ত্রীর প্রচন্ড স্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাকে ওই রাতেই শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শ্বাসকষ্ট আরো বাড়তে থাকে। শুক্রবার প্রথম প্রহরে মারা যান ফারহানা আক্তার রিমিও। শুক্রবার দুপুরে স্বামীর পাশেই তাকে দাফন করা হয়।
জলিল-রিমি দম্পতির মেয়ের জামাই সৈয়দ নাজমুল করীম। তিনি বলেন, ‘৩৩ ঘণ্টার ব্যবধানে শ্বশুড়-শাশুড়ির মৃত্যুতে শুধু তাদের পরিবারে না পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’
এদিকে করোনায় এক চিকিৎসক মারা গেছেন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। মো. সিরাজুল ইসলাম নামের ওই চিকিৎসক বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান। তিনি শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক ছিলেন। এমনকি তিনি ওই কলেজের শিক্ষার্থীও ছিলেন।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, এই আগস্ট মাসের ছয় দিনে ১৩০ জনের বেশি করোনায় এবং উপসর্গে মারা গেছেন। আর গেল জুলাইয়ে মারা গেছেন ৪০১ জন। যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, তাদের একটা বড় অংশ ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত ছিলেন।