১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর জীবন্ত মাটিচাপা!
১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর জীবন্ত মাটিচাপা!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫১ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ছবি প্রতীকী
দিনাজপুরে প্রথমে ১১ বছর বয়সী শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে শিশুটি। পরে মৃত ভেবে কোদাল দিয়ে গর্ত খোঁড়েন সুমন। তখনো বেঁচে ছিল ভুক্তভোগী। এরপর মাটিচাপা দিয়ে বাড়ি চলে যান।
এভাবেই দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার রসুপুল ইউনিয়নের বনড়া গ্রামের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার বর্ণনা দেন ঘাতক সুমন।
রোববার (১১ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের এসআই আশরাফুজ্জামান। এর আগে শনিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় দিনাজপুর আমলী আদালত-৩ এর বিচারক শারমিন আক্তারের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন তিনি।
আসামি সুমন চন্দ্র দাস জেলার কাহারোল উপজেলার বড় পাহাড়পুর শাহাপাড়ার জগদীশ চন্দ্র দাসের ছেলে।
জানা গেছে, মেয়েটি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় স্থানীয় তরলা বাজার এলাকায় রাস্তা থেকে মুখ চেপে ধরে পাশের পাটক্ষেতের ভেতর নিয়ে যান সুমন। এরপর রশি দিয়ে মুখ ও হাত-পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে মৃত ভেবে ফেলে রেখে বাড়িতে চলে যান তিনি। পরে রাত ৩টার সময় বাড়ি থেকে কোদাল নেন। এরপর সেখানেই গর্ত খুঁড়ে মেয়েটিকে মাটিচাপা দেন সুমন। সে সময়ও মেয়েটি বেঁচে ছিল। পরে সুমন তাকে শ্বাসরোধে খুন করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের এসআই আশরাফুজ্জামান জানান, ঘটনার পর থেকেই এক এক করে ৪৪ জনকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তার পরেও খুনের কোনো ক্লু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে নিহত স্কুলছাত্রীর দাদি জানান, পাশের গ্রামের বড় পাহাড়পুর সাহাপাড়ার সুমন প্রায়ই মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতো।
তিনি আর জানান, ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে গত ৬ জুলাই রাতে নিজ বাড়ি থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন আদালতে হাজির করলে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই কাহারোল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের বনড়া গ্রামের একটি বিলের পাশ থেকে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর মাটিচাপা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।