বস্তায় ভরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নদীতে ফেলে দিলেন স্বামী
বস্তায় ভরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নদীতে ফেলে দিলেন স্বামী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩১ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২৩ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে ও মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রাতের আধারে ভাঙ্গার খাল নদীতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু ভুলবসত নদীর তীরে ফেলে চলে যাওয়ায় তার গুংঘানির শব্দ শুনে প্রতিবেশী এক ব্যক্তি দ্রুত গিয়ে ওই বস্তার মুখ খুলে দেখেন ভেতরে বাদলারপাড় গ্রামের ক্বারী নিজাম উদ্দিনের মেয়ে মাইফুল নেছা। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে অন্য প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। পরে মাইফুল নেছার অবস্থা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আবু তাহের জান্নাত ও তাকে সহযোগিতাকারীরা গা ডাকা দিয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদালারপাড় গ্রামে মেয়ে বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
এমন ঘটনার খবর পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মো: শহিদুল ইসলাম ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।
মাইফুল নেছার মা মমতা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আট মাস আগের মেয়ে মাইফুল নেছার (২৩) সাথে দোয়ারাবাজার উপজেলার চৌধুরীপাড়া গ্রামের সাজিদুল মিয়ার ছেলে আবু তাহের জান্নাতের (২৮) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী আবু তাহের জান্নাত শ্বশুর বাড়ির পাশে ভোলাখালি গ্রামের এক ভাড়াবাসায় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে সংসার করার পাশাপাশি পাশেরই একটি ঘরে পোল্ট্রি মোরগের ব্যবসা শুরু করেন। যৌতুকের দাবি না মেটানোর কারণে মাসখানেক ধরে মাইফুলকে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন আবু তাহের। কিন্তু টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নির্যাতন শুরু করা হয়। এ কারণে কিছু দিন আগে বিষ খাইয়ে মেরেও ফেলতে চেয়েছিল।
মাইফুলের মা আরো জানান, এনিয়ে বিচার সালিশ বৈঠক হয়। বিচারে দোষীও হন আবু তাহের। পরে সালিশরা একসপ্তাহ পর আবারো বিচারে বসবেন বলে ওই দিন স্থগিত করা হয়। এরপর শুক্রবার রাতে আমার মেয়ে আমার বাড়িতে টয়লেট গেলে মেয়ের স্বামী, শ্বশুর ও দেবররা পরিকল্পিতভাবে তাকে মুখ চেপে ধরে হাত-পা বেঁধে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে পাশে ভাঙ্গার খাল নদীতে ফেলে দিলে আমার মেয়েকে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায়।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।