avertisements 2

কঠোর লকডাউনে যা করা যাবে, যা করা যাবে না

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ জুলাই,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৪৭ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ২৩ জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত চলাচলের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা, এই কয়দিন কী করা যাবে, বিশেষ ছাড়ে কী কী করা যাবে প্রজ্ঞাপনে তার উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা আছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনওভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে করে মানুষকে ঘরে রাখা জরুরি। সবকিছু খোলা রেখে সেটা যেমন সম্ভব না, সব বন্ধ করলেও জীবন যাপন ব্যাহত হবে। সে কারণেই প্রয়োজন বিষয়টিকে ফোকাস করা হয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া এসময় কোনওভাবেই ঘর ত্যাগ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে বিধিনিষেধ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতবারের চেয়ে কঠিন হবে এই বিধিনিষেধ। এটি বাস্তবায়ন করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। এ সময় অফিস-আদালত, গার্মেন্টস-কলকারখানা ও রফতানিমুখী সবকিছুই বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, বিধিনিষেধ শিথিল হবে না। গতবারের চেয়েও এবার কঠোর থাকবে প্রশাসন। বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, অফিস-আদালত, গার্মেন্টস-কলকারখানা ও রফতানিমুখী সব কিছুই বন্ধ থাকবে।

যা করা যাবে

করোনার বিস্তার রোধে সাতদিনের বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি পণ্য পরিবহন করা যাবে; উৎপাদন ব্যবস্থা চালু থাকবে; জরুরি সেবা দেওয়া যাবে। শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু রাখতে পারবে। সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্তস্থানে কাঁচাবাজার খোলা থাকবে এবং বাজার করা যাবে।

জরুরি পরিষেবা দেওয়া যাবে। এর মধ্যে রয়েছে কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম চলবে। টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি) সেবা দেওয়া যাবে। গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া) কর্মীরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসাসেবা, মরদেহ দাফন/সৎকার সংশ্লিষ্ট কাজ করা যাবে। টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা নেওয়ার জন্য যাতায়াত করা যাবে।

যা করা যাবে না

সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে জনসাধারণকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে না। শপিং মলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখতে হবে।

উৎসঃ   mzamin

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2