এবার ঢাকামুখী মানুষের স্রোত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:২৪ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
আগামীকাল শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোর থেকে আবারও দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) শুরু হতে যাচ্ছে। এ কারণে ঈদের খুশি স্বজনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে না করতেই কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে। অন্যদিকে টানা ১৪ দিনের লকডাউনের কারণে অনেকে আবার গ্রামেও ফিরে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) ভোর থেকেই শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুট দিয়ে শুরু হয়েছে ঢাকামুখী মানুষ পারাপারের ব্যস্ততা। সময় গড়ানোর সাথে সাথে ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। কর্মস্থলমুখী মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দের ছোঁয়া থাকলেও পাশাপাশি রয়েছে দ্রুততম সময়ে স্বজনদের রেখে আসার বেদনা।
প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে যশোর গিয়েছিলেন মো. জাকির নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আবার ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে। অনেকদিন পর গিয়ে দুইদিনেই ফিরে আসা কষ্টদায়ক। বাড়িতে যেতে না যেতেই ফেরার সময় হয়ে যায়। তাই ঈদের আনন্দ থাকলেও কিছুটা খারাপও লাগছে।
ঢাকায় ফিরছে মানুষ
মো. মাসুদ নামের এক ব্যক্তি ঢাকাতেই ঈদ করেছেন। তবে দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধের সময় গ্রামের বাড়িতে কাটাবেন বলে বৃহস্পতিবার ভোরেই রওনা হয়েছেন খুলনার উদ্দেশে। তবে তিনি আদৌ দুই সপ্তাহ পর ফিরতে পারবেন কিনা সেটি নিয়েও সংশয় রয়েছে তার মনে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, ঢাকামুখী মানুষের চাপ সামলাতে শিমুলিয়া বাংলাবাজার, নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ ও ১৮ ফেরি চালু রাখা হয়েছে।
মোটরসাইকেল যোগে ঢাকায় ফিরছে মানুষ
শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন অফিসার আহম্মেদ আলী জানান, ঈদে শেষ কর্মস্থল ফেরা মানুষের যত চাপই হোক বিআইডব্লিউটিসি প্রস্তত রয়েছে। সবগুলো ফেরি সার্ভিসে নিয়োজিত আছে। ঈদে সেবা দেওয়ার জন্য কাউকে ছুটি দেওয়া হয়নি। আমরা সর্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছি।
সারা দেশে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এ বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে বিধিনিষেধেও বিশেষ ব্যবস্থায় রপ্তানিমুখী পোশাক ও শিল্প কারখানা খোলা ছিল। এরপর ঈদুল আজহার কারণে ১৫ জুলাই থেকে লকডাউন শিথিল করা হয়। গত ১৩ জুলাই জারি করা এক প্রজ্ঞপনে লকডাউন শিথিলের এ নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ১৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল থাকবে। জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ সময়ে জনসাধারণকে সতর্ক থাকা, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
একই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ঈদের ছুটি শেষে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।