এবার কি হিমালয় বিক্রি হবে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১২ জুলাই,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৩৪ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
তিন বছর ধরে লালনপালন করছেন গরুটিকে। উচ্চতা ও ওজনের কারণে ভালোবেসে এর নাম রেখেছেন হিমালয়। প্রতিদিন খাবার বাবদ হিমালয়ের পেছনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। খামার ও হিমালয়কে লালনপালন করতে গিয়ে দেনা করেছেন প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। গত বছর কোরবানির ঈদে বিক্রি করতে পারেননি করোনার মহামারির কারণে। এবারও মহামারি বেড়েছে। কয়েক দিন পরেই কোরবানির ঈদ। এবারও ন্যায্যমূল্য পাবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত খামারি নাজমুল মোল্লা।
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার কাকড়ী গ্রামের নাজমুল মোল্লার (২৫) বিশালাকৃতির গরুটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমায় স্থানীয় ও আশপাশের এলাকার মানুষেরা। ১১ ফুট লম্বা আর ৬ ফুট উচ্চতার ফ্রিজিয়ান গরুটি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি রয়েছে এর রাগ।
তরুণ নাজমুল মোল্লার খামারে তিনটি গাভি ও তিনটি বকনা রয়েছে। আর এই খামার ঘিরেই নাজমুলের সব স্বপ্ন। কিন্তু করোনার প্রভাব আর দেনার দায়ে সব স্বপ্ন ফিকে হতে বসেছে তার।
নাজমুল মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের ছয় সদস্যের পরিবার এই খামারের আয়ের ওপর নির্ভর করে চলে। অনেক কষ্টে বড় করেছি হিমালয়কে। এর যত্ন নিতেই কেটে যায় আমার আর বাবার দিন-রাত। ভেবেছিলাম হিমালয়কে একটু ভালো দামে বিক্রি করব, পরিবারের দেনা শোধ করব। গত বছর কোরবানিতেও ষাঁড়টি বিক্রির জন্য চেষ্টা করেছি। হাটেও নিয়েছি। কিন্তু করোনার মধ্যে উপযুক্ত ক্রেতার অভাবে বিক্রি করতে পারিনি।
তিনি জানান, হিমালয়কে প্রতিদিন ঘাষ, কুটা, দেশীয় ফলমূলের পাশাপাশি দানাদার (খৈল, ভুট্টা, ছোলা, গমসহ নানা প্রকার বীজ) খাবার খাওয়াতে হয়। এসব খাবার কিনতে ধারদেনা করতে হয়েছে আমাকে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারও শঙ্কায় রয়েছি, এমন আশঙ্কা করে নাজমুল বলেন, কী হবে জানি না। অনেক শখ ও ত্যাগ স্বীকার করে হিমালয়কে বড় করেছি। এত বড় গরু আশাপাশে কোথাও নেই। গত বছর ১০ লাখ টাকা চেয়েও বিক্রি করতে পারিনি। এবার খরচ বেড়েছে, তাই দাম চাচ্ছি ১২ লাখ টাকা। কিন্তু যদি ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে না পারি, তবে খরচ চালাতে আর মানুষের দেনা শোধ করতে আমাদের জমি বেচে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।