ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় নিশীথ প্রামাণিকের পৈত্রিক বাড়ি গাইবান্ধা আনন্দের বন্যা
ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় নিশীথ প্রামাণিকের পৈত্রিক বাড়ি গাইবান্ধা আনন্দের বন্যা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ জুলাই,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৩৪ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত নিশীথ প্রামাণিক। নিশীথ প্রামাণিকের প্রতিমন্ত্রী হওয়ার খবরে আনন্দের বন্যা বইছে তার পৈত্রিক বাড়ি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ির উপজেলার ভেলাকোপা গ্রামের বাড়িতে। নিশীথের এমন অর্জনে চাচা-জ্যাঠাসহ পরিবারের সকলের মুখে বইছে হাঁসির ঝিলিক। একে-অপরকে মিষ্টি খাইয়ে করছেন আনন্দ-উল্লাও। তাকে প্রতিমন্ত্রী করার ঘোষণা গণমাধ্যমে প্রচার পাওয়ার পর থেকেই বিষয়টি সর্বত্রই আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে জেলাজুড়েই। পরিবার ছাড়াও খুঁশি-আনন্দিত তার সম্প্রদায়ের মানুষসহ এলাকাবাসীর মধ্যে। সাংসদ থেকে স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী হওয়ায় নিশীথ প্রামাণিকসহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুধিমহলসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
শনিবার(১০ জুলাই) বিকেলে নিশীথ প্রামাণিকের পৈত্রিক গ্রামের বাড়ি ভেলাকোপায় গিয়ে কথা হয় তার স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে। বাড়িতে তার চাচা, জ্যাঠা ও চাচাতো ভাইসহ পরিবারের লোকজন আছেন। তারা জানায়, সর্বশেষ ২০১৮ সালে ঢাকায় এসে গ্রামের বাড়ি ভেলাকোপায় বেড়াতে আসছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। ভারতে অবস্থান করলেও নিশীথ আমাদের পরিবারের সন্তান। প্রতিমন্ত্রী হওয়ার এই অর্জনে পরিবার ছাড়াও গ্রামের মানুষের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
নিশীথের জ্যাঠা শ্রী দক্ষিণা রঞ্জণ প্রামাণিক বলেন, তার ভাই বিধু ভূষণ প্রমাণিক দেশভাগের আগে ভারতের কুচবিহারে পাড়ি জমান। এরপর সেখানে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি। নিশীথ প্রামাণিক বিধু ভূষণের একমাত্র সন্তান। সাংসদ থেকে এবার তিনি মোদি সরকারের নবগঠিত মন্ত্রিসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। অল্প বয়সে মাত্র ৩৫ বছরে তার এই অর্জনে পরিবার ছাড়াও গ্রামবাসীর মধ্যে বইছে খুশি আর আনন্দ। খুঁশির খবরে গ্রামে একে-অপরকে মিষ্টিমুখ করছেন।
জ্যাঠাতো ভাই সঞ্জিত কুমার প্রামাণিক বলেন, ‘ভারতে লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষকতার চাকরি নেয় নিশীথ। কিন্তু কিছুদিন পরেই শিক্ষাকতা ছেড়ে রাজনীতিতে যোগদেন তিনি। জনপ্রীয়তার কারণে প্রথমে ভারতীয় তৃণমূল কনগ্রেসের কুচবিহার জেলার যুব সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। এরপর তিনি বিজেপিতে যোগদেন। রাজনৈতিক হোচট খেলেও তিনি বিপুল ভোটে কুচবিহারের সাংসদ (এমপি) নির্বাচিত হন। এরপর ২০২১ সালে বিধান সভার ভোটে এমএল এ নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে বিধান সভার পদ ছেড়ে দিয়ে লোকসভা রাখেন। সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয সরকারের স্বরাষ্ট্রপতিমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিতসহ শপথ নিয়েছেন তিনি। ছোট ভাই নিশীথ প্রামাণিক প্রতিমন্ত্রীত্ব লাভ করায় শুধু খুঁশিই নয়, পরিবার তথা গ্রামজুড়েই সকলেই গর্বিত।
এলাকবাসীর মধ্যে ভেলাকুপা গ্রামের মোতাহার ও আনোয়ার বলেন, ‘নিশীথ প্রামাণিক ভারতের মন্ত্রীসভায় স্থান পাওয়ায় আমরা গ্রামের মানুষরা আনন্দিত। আমরা মনে করি, নিশীথ প্রামাণিক তার যোগ্যতা ও জনপ্রীয়তার মুল্যায়ন পেয়েছেন। গ্রামের নগন্য ছেলে নিশীথের এই অর্জনে মানুষজন শুধু খুঁশিই নন, তার এমন স্বীকৃতি কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। বর্তমানে হরিনাবাড়ি ইউনিয়নের ভেলাকোপা গ্রাম ছাড়াও আনন্দ আর গর্ব বোধ করছেন গাইবান্ধা জেলাবাসীও।
ছোট বেলা থেকেই মেধা, মনন আর আত্মবিশ্বাসে নিশীথ প্রামাণিক একদিন যে ভালো কিছু অর্জন করবে তা জানা ছিলো স্থানীয় অনেকের। অল্প সময়ে তার নেতৃত্বের সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে। আজ নিশীথ স্বরাষ্ট্রপতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছে আগামীতে মাববতার দিক থেকে পৃথীবিজুড়েই তার নেতৃত্ব আরও উচ্চ পর্যায়ে যাবে বলেও বিশ্বাস করেন হরিরামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য মো. জরিদুল হক।