avertisements 2

শখের বসে ষাঁড় পালন করে এখন সফল খামারী

শখের বসে ষাঁড় পালন করে এখন সফল খামারী

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:০৫ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

বগুড়ার শাজাহানপুরের গোহাইল ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু একজন সফল ষাঁড়গরুর খামারী। তিনি উপজেলার অত্র ইউপির খাদাশ গ্রামের মৃতঃ খয়রাত আলী তালুকদারের বড় পুত্র। গত ২০১৯ সাল হতে নিজের শখের বসে মাত্র ১৬টি ভিন্ন ভিন্ন জাতের ষাঁড় পালন শুরু করেন। বিগত সময়ে ষাঁড়গুলো বিক্রি করে বেশ লাভবান হন। তারপর তার থেকেই আরও বেশি আগ্রহ জাগে ষাঁড়গরু পালনে। পর পর দুবছর ভাল সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়ে আরও অধিক সংখ্যক ষাঁড়গরু মোটাতাজাকরণ শুরু করেন তিনি। 
এ বছর ৪৬টি ষাঁড় বিক্রির জন্য লালন পালন করেছেন। তিনি তার অত্যান্ত আদরের নাতী আজলানের নামে খামারের নামকরণ করেছিলেন আজলান এগ্রো ফার্ম। বর্তমানে উপজেলার মধ্যে বগুড়া-নাটোর রোডের জামাদারপুকুর নামক স্থানে এটিই বড় ফার্ম। 

এই ফার্মে রয়েছে শাহীবল, নেপালী, পাকিস্তানী নেপালী, ব্রাহামা, ফ্রিজিয়ানসহ দেশীয় জাতের ষাঁড়গরু। চলতি বছরে ঈদ-উল-আযহায় কোরবানী উপলক্ষে বিক্রি করা হবে এসব ষাঁড়গুলো। ফার্মের সেরা নেপালী ক্রস জাতের যে ষাঁড়টি রয়েছে তার ওজন ৭১০ কেজি। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। 
এছাড়াও সর্বনিম্ন তিনশ কেজি থেকে শুরু করে সাড়ে ছয়শ কেজির বেশি ওজনের ষাঁড়গরুও তার ফার্মে রয়েছে। শুধু ষাঁড়গরু মোটাতাজাকরণই হচ্ছে না ঐ ফার্মে পাশাপাশি দুধের চাহিদা মেটাতে পালন করছেন বিদেশী জাতের ২৮টি গাভী। যেখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০০ লিটার দুধ বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ফার্মে ষাঁড়ের পরিচর্যাকারীরা বলেন, প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার গোসল করানো হয়। এ সব ষাঁড়গরু অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে পারে না, তাই সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করা আছে। নির্দিষ্ট সময় পর পর সুষম খাদ্য সরবরাহ করে ষাঁড়গুলোকে খাওয়ানো হচ্ছে। ফিড জাতীয় কোন ধরনের খাবার খেতে দেয়া হয় না। উল্লেখযোগ্য খাবারের মধ্যে রয়েছে; ধানের গুড়া, ভূট্টা ভাঙা, গমের ভূসি, খুদ, চিটাগুড়, সয়াবিন, ছোলার ভূসি ও খড়ের সমন্বয়ে তৈরীকৃত খাবার। এছাড়াও মাঝে মাঝে কাঁচা ঘাসও খেতে দেয়া হয়। 

ফার্মের পরিচালক চেয়ারম্যান ফজু বলেন, আমি হালাল গোস্ত খাই, অন্যকেউ হালাল গোস্ত খাওয়াতে চাই। সেই লক্ষ্যে তিনি ষাঁড়গুলোকে কখনোই ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে দেন না।

তিনি বলেন, করোনা মহামারীর কারণে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত হতে বিদেশে মাংস রপ্তানী করতে পারছে না। তাই বর্তমানে বাংলাদেশের উপর একটু চাপ পরেছে। সম্প্রতি এসিআই কোম্পানীর মাধ্যমে আমার ফার্ম হতে শতভাত হালাল মাংস বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। দেশের আমিষের ঘাটতি পুরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানীর চেষ্টা চলছে। যেসব ষাঁড়ের ওজন ৪৫০ থেকে ৭১০ কেজির বেশি সেগুলোর মূল্য ৪৫০ টাকা এবং ৩০০ থেকে ৪৫০ কেজি কম ওজনের ষাঁড়গুলোর মূল্য ৪২৫ টাকা নির্ধারণ করেছি। এ বছর কোরবানীর ঈদে “গবাদি হাট” নামক ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ষাঁড়গুলো বিক্রি করা হবে। 

এ সময় তিনি বলেন, ষাঁড়গরু মোটাতাজাকরণ বাণ্যিজিকভাবে একটি লাভজনক ব্যবসা। 

তিনি আরো বলেন, ৭১০ কেজি নেপালী ক্রস জাতের সবচেয়ে বেশি ওজনের ষাঁড়টি এ বছর বিক্রি করা হবে না। তবে এই ষাঁড়টি আল্লাহ্ সুস্থ রাখলে আগামী বছরে নামকরণ করে বিক্রি করা হবে ইনশা আল্লাহ।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2