আমাকে গ্রেফতার করা ‘সাজানো নাটক’ আদালতে সাহেদ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ২৯ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৯ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আমি নির্দোষ, আমাকে ঢাকা থেকে ধরে সাতক্ষীরায় এনে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দুই মামলার চার্জ গঠনের শুনানিকালে বিচারকের অনুমতি নিয়ে এজলাসে এসব কথা বলেন তিনি।
আদালতকে তিনি বলেন, সাতক্ষীরার গ্রেফতার নাটক সাজানো ছিল। তার তিন দিন আগে থেকেই আমি র্যাব কাস্টডিতে ছিলাম। এরপর আমার বাবা মারা যান, বাবার মুখটিও দেখতে দেওয়া হয়নি। আমাকে ভারতে পালানোর সময় গ্রেফতার করা হয়েছে, এটা নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার।
এসব কথা বলার সময় বিচারক তাকে থামিয়ে দেন। বিচারক বলেন, এসব কথা এখন বলার সময় নয়। সাক্ষী হওয়ার পরে যখন ৩৪২ ধারায় আপনার জবানবন্দি নেওয়া হবে তখন এসব কথা বলতে পারবেন। আপনাকে বলার সুযোগ দেওয়া হবে।
সাতক্ষীরার আদালতে দুই মামলায় সাহেদ করিমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকী শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে দায়ের করা এসটিসি ২০৭/২০ (অস্ত্র) ও এসটিসি ২০৮/২০ (চোরাচালান) মামলার চার্জ গঠন করা হয়। জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানে আদালতে সাহেদ করিমকে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদালত আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পৃথক ওই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর এলাকা দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে শাহেদ করিমকে গ্রেফতার করেন র্যাব সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, ৩ হাজার ২৩৩ ভারতীয় রুপি, তিনটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় খুলনা র্যাবের উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিনই অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।