avertisements 2

মায়ের দেওয়া ৯৪৮ টাকা দিয়ে শুরু, আজ কোটিপতি লুৎফর রহমান

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:২৬ পিএম, ২ জানুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:১৬ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

শুরুটা হয়েছিল মায়ের দেওয়া ৯৪৮ টাকায় লাকড়ির (জ্বালানি কাঠ) ব্যবসা দিয়ে। লাভ হচ্ছিল ভালোই। ফলে ব্যবসা প্রসারের পরিকল্পনা করেন। এক সময় ধান ঝাড়া মেশিন নজরে আসে। কুমিল্লা থেকে আসতো এগুলো। কষ্ট ও সময় সাশ্রয়ী হওয়ায় মেশিনগুলো কৃষকের কাছে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। কাঠের ব্যবসার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেই এ মেশিনগুলো তৈরির পরিকল্পনা করে লুৎফর রহমান। এরপরই ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে প্রথম ধান ঝাড়া মেশিন তৈরি শুরু করেন তিনি। গড়ে তুলেছেন  দিশারী কাঠগোলা অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ নামের ধান ঝাড়া মেশিন তৈরির কারখানা।

লুৎফর রহমান ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পশু হসপিটাল পাড়ার দিশারী কাঠগোলা অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের কর্ণধার। তার এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে কোটি টাকার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। যেখানে ৪০-৫০জন শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।

লুৎফর রহমান বলেন, আশির দশকে কুমিল্লা থেকে ধান ঝাড়া মেশিন কালীগঞ্জে আসতো। দিন দিন এর চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। একসময় মনে হলো এ মেশিন তো আমরাও তৈরি করতে পারি। সেই চিন্তা থেকেই ১৯৮৭ সালে নিজেই ধানঝাড়া মেশিন তৈরির সিদ্ধান্ত নেই। মায়ের দেওয়া ৯৪৮ টাকা দিয়ে শুরু করে আজ সেই ব্যবসা কোটি টাকার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।

প্রথম দিকে একটি মেশিন ১৫০০-২০০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব হতো। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে ওই একই মেশিন সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। মেশিনে ব্যবহৃত কিছু যন্ত্রাংশ কুমিল্লা বিসিক থেকে আনা হয় এবং কাঠ স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা হয়। লোহার পাত ও রড দিয়ে ধানঝাড়া মেশিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ  কারখানাতেই তৈরি করা হয়। লেদের শ্রমিক, কাঠের শ্রমিকসহ কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০জন শ্রমিক তার এই কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে বলে তিনি জানান।

কারখানার নিয়মিত শ্রমিক রাশেদুল ইসলাম বলেন, ধানঝাড়া মেশিনের কাঠের পাটাতনে তারের কাঁটা বসিয়ে দৈনিক ৭’শ থেকে ৮’শ টাকা আয় করেন। শ্রমিক আব্বাস আলী বিশ্বাস বলেন, তিনি মেশিন ফিটিংস এর কাজ করে দৈনিক ৭-৮’শ টাকা আয় করেন।

উদ্যোক্তা লুৎফর রহমান বলেন, এ মৌসুমে কারখানা থেকে প্রায় সাড়ে ৪হাজার মেশিন বিক্রি করা হয়েছে। কারখানায় উৎপাদিত মেশিন রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, নাচোল, সাতক্ষীরা, নড়াইল, পাংশা, ফরিদপুর, বোয়ালমারী, যশোর, ফকির হাট, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2