avertisements 2

গরুচোর আতঙ্ক, গোয়ালে রাত কাটছে গেরস্থেরা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৫২ এএম, ২৯ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০৬:৪৩ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

কুষ্টিয়ার মিনাপাড়াসহ পাশের দুই গ্রামে গরু চুরির আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। চুরি হওয়ার আশঙ্কায় অনেকে গোয়ালঘরে শুয়ে রাত কাটাচ্ছেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গত দুই বছরে মিনাপাড়াসহ পাশের দুইটি গ্রাম থেকে ৪৩টি গরু-মহিষ চুরি গেছে। এছাড়া চুরি হয়েছে ২০টির বেশি সেচপাম্প।

মিনাপাড়ার পাশেই জগতি পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও নিয়মিত চুরির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।

বাইপাস সড়কের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, আগে এলাকায় তেমন একটা চুরি না ঘটলেও দুই বছর আগে সড়ক চালুর পর থেকে নিয়মিত চুরি হচ্ছে। চোররা সহজেই যানবাহনে চেপে পালাতে পারে।

ভুক্তভোগীরা জানান, গত দুই বছরে মিনাপাড়া, কাটা জুলাপাড়া মহল্লা ও ঢাকা ঝালুপাড়া থেকে ৪৩টির বেশি গরু ও মহিষ চুরি হয়েছে। স্থানীয় চোরদের সঙ্গে জেলার ভেড়ামারা উপজেলার কিছু গরু-মহিষ ব্যবসায়ীর যোগসাজশ আছে। চোরাই গরু-মহিষ ওই ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে চলে যায় পাশের জেলা পাবনার বিভিন্ন পশুর হাটে।

ঢাকা ঝালুপাড়া এলাকার কৃষক আবদুল হান্নান বলেন, সম্প্রতি তার দুইটি গাভি চুরি হয়েছে। গাভি চুরি যাওয়ার পরদিন সকালে তিনি জেলার একটি পশুহাটে যান। হাটের এক ব্যাপারী জানান যে কুষ্টিয়া থেকে চুরি করা গরু স্থানীয় হাটে তোলা হয় না। বিক্রি হয় পাশের জেলা পাবনায়।

হান্নান বলেন, একদিন পর পাবনার আতারপাড়া পশুহাটে যান তিনি। দুপুরের দিকে হাটে আসা একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গরুবোঝাই ট্রাকে তার একটি গাভি দেখতে পান। পরে হান্নান বিষয়টি হাটের ইজারাদারকে জানান।

ইজারাদার ওই ট্রাকের লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন এসব গরুর মালিক কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের গরুব্যবসায়ী আলাল ব্যাপারী। ইজারাদারদের মধ্যস্থতায় একটি গাভি ফেরত পান হান্নান।

তিনি আরও বলেন, আলাল চুরি যাওয়া গাভি দুইটি একই উপজেলার জুনিয়াদহ গ্রামের শিশির ব্যাপারীর কাছ থেকে কিনেছিলেন বলে জানান। তিনি হান্নানকে অপর গাভিটিও ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন। কিছুদিন পর আলাল তাকে বলেন, একটা গাভি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকো, চোরদের সঙ্গে লাগতে যেও না।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কুষ্টিয়া শহরের এক প্রভাবশালী নেতার ভাই গরুচোর সিন্ডিকেটের মূল হোতা। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ চোরদের ব্যাপারে মুখ খুলতে ভয় পান। ভুক্তভোগীদের মধ্যে কয়েকজন চুরির ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডি করলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত জানান, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে তিনি ঘটনাটি জানতে পারেন। পরে মডেল থানার ওসি ও গোয়েন্দা পুলিশের ওসিকে চোর চক্

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2