সিলেটে হাসপাতালে গিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনায় নাহিদ ইসলাম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ এপ্রিল,রবিবার,২০২৫ | আপডেট: ১১:০৬ এএম, ৭ এপ্রিল,সোমবার,২০২৫

সিলেটের ধনকুবের মাহতাবুর রহমান নাসির। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হিসেবেই তাকে সবাই চিনেন। নাসিরের প্রতিষ্ঠিত অনেকগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠন রয়েছে সিলেটে। এর মধ্যে নগরীরর সোবহানীঘাট এলাকায় রয়েছে আল হারামাইন নামের একটি হসপিটাল। অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি সিলেটে এসে এই হাসপাতালেই চিকিৎসা নেন। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা নাহিদকে নিয়ে নানা সমালোচনা করে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে ব্যক্তিগত সফরে সস্ত্রীক সিলেটে পৌঁছে নাহিদ ইসলাম আকস্মিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তিনি নগরীর সোবহানিঘাট এলাকার আল হারামাইন হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসা নেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সিলেটে তোলপাড় শুরু হয়। ফেইসবুকে নানা জন নানা মন্তব্য করছেন। কেউ বলছেন সিলেটে অনেকগুলো ভালো মানের হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও নাহিদ কেন এই হাসপাতালে গেলেন? আবার কেউ বলছেন একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে যেকোন জায়গায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন।
আল হারামাইন হাসপাতালের জিএম পারভেজ আহমদ গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার পায়ে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন নাহিদ ইসলাম। পরে অর্থোপেডিক্স বিভাগের একজন ডাক্তার দেখিয়ে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
এনসিপি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটে (বিএস-৫৩৫) স্ত্রীসহ ঢাকা থেকে সিলেট আসেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিকেল ৩টার দিকে সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট এলাকায় অবস্থিত আল হারামাইন হাসপাতালে যান। সেখানে ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর সড়কপথে মৌলভীবাজারে উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তিনি। শুক্রবার রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি শ্রীমঙ্গলের একটি রিসোর্টে অবস্থান করছিলেন। আজ শনিবার তিনি ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাহতাবুর রহমান নাসিরের বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। আতর ব্যবসার আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে এ টাকা পাচার করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। এমনকি ৫ আগস্টের পর তার বিলাসবহুল বাড়ি কাজী ক্যাসলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দীর্ঘদিন অবস্থান করেন বলেও গুঞ্জন ওঠে। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন ওই বাড়িতে হামলা চালান। এ ঘটনার পর বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। দুদক ও এনবিআর তার সম্পদের গোপন রহস্য উদঘাটনে এখনো কাজ করছে।