সাবেক এমপির বাড়ি দখল করা সেই নারী সমন্বয়ক গ্রেপ্তার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ মার্চ,সোমবার,২০২৫ | আপডেট: ০৯:০৭ পিএম, ১১ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২৫

ছবি: সংগৃহীত
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের বাসা ভাঙচুর, লুটপাট, দখল ও ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবির মামলায় সমন্বয়ক পরিচয় দানকারী মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৯ মার্চ) রাতে শহরের পশ্চিম আকুর-টাকুরপাড়া (হাউজিং) এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মিষ্টি জেলার বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের জশিহাটী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
এর আগে এ ঘটনায় রবিবার রাতে সাবেক এমপির স্ত্রী রওশন আরা খান বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মিষ্টিকে এক নাম্বার আসামী ও অজ্ঞাত আরও ৭-৯ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় রওশন আরা খান উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন শনিবার সকালে গেইটের ৬টি তালা ভেঙে নগদ ৫ লাখ টাকা এবং ১০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়াও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। যার মূল্য আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে বাড়িতে উঠে। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়িতে বসবাস করতে হলে মিষ্টি ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে না পারলে ৭ দিনের মধ্যে বাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
এর আগে শনিবার সকালে জোয়াহেরুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন মুকাদ্দাস মিস্টি। সেখানে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য আশ্রম বানানোর ঘোষণা দেন। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এতে নড়চড়ে বসে প্রশাসন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে বাড়িটি দখলমুক্ত করে। সদর উপজেলা সহকারী কমিমনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। পরে মুচলেকা দিয়ে রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে রবিবার রাত ১১টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ১৭ জনকে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের সরকারি আশ্রমে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, বাসা ভাঙচুর, লুটপাট, দখল ও ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবির মামলায় সমন্বয়ক পরিচয় দানকারী মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিকে ৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার সকাল ১১ টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম মাহবুব খান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডের বিষয়টি ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ লুৎফর রহমান।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহমেদ বলেন, “রবিবার জোহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টির বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”