বিশেষজ্ঞ হিসেবে ৩৩৫ রোগীকে চিকিৎসা, পর জানা গেল তিনি ডাক্তারই নন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ মে,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৯:৪৫ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ডাক্তার পরিচয়ধারী শংকর দাস। ছবি :
নেত্রকোনার মদনে এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করেছে জনতা। বেশ কয়েক দিন ধরে মদন পৌর শহরের স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেডিসিন, মা ও শিশু, যৌন ও চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন তিনি।
ডা. সাধন কুমার মন্ডল পরিচয়ধারী এ ব্যক্তির প্রকৃত নাম শংকর দাস (২৮)। তিনি টাঙ্গাইলের ধনবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা সুমেশ দাসের ছেলে। বিএমডিসি রেজি. নম্বর ব্যবহার করে ৫০০ টাকা ভিজিট নিতেন তিনি। দুই মাস ধরে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৩৫ রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন তিনি।
মূলত তিনি একজন প্রতারক ও ভুয়া চিকিৎসক এমন একটি সংবাদ স্থানীয় লোকজনের কানে আসে। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্থানীয়রা তার খোঁজ করলে, তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় এলাকার লোকজন তাকে উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে নিয়ে গেলে মো. শাহ আলম মিয়া ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. তায়েব হোসেন তার সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করে জানান, সে একজন ভুয়া চিকিৎসক। চট্টগ্রামের একজন ডাক্তারের নাম ও রেজি. নম্বর ব্যবহার করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন তিনি। তার আসল নাম শংকর দাস। তার পিতার নাম সুমেশ দাস। তার কাছে ভিন্ন নামের তিনটি আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। আমরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছি।
পরে শংকর দাস সাংবাদিকদের জানান, আমি কোনো ডাক্তার না। আমি অর্থ উপার্জনের উদ্দেশে এমন প্রতারণা করেছি। আমি দেড় মাস যাবৎ স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকগণের সহযোগিতায় ডাক্তার সেজে রোগী দেখছি।
স্বদেশ ডায়াগানস্টিক সেন্টারের মালিক পক্ষের খাইয়ুম জানান, সে আমাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছে। ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া কি সঠিক হয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি নীরবতা অবলম্বন করেন।
মদন থানার ওসি উজ্জল কান্তি সরকার কালবেলাকে জানান, শংকর দাস নামে একজন ভুয়া ডাক্তারকে আটক করে ইউএনও সাহেব সন্ধ্যায় মদন থানায় সোপর্দ করেছেন। আমি প্রকৃত ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি চট্টগ্রাম হতে রওনা দিয়েছেন। তিনি আসার পর আটককৃত ভুয়া ডাক্তার শংকর দাসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।