আবেগ তাড়িত হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছি: বাহাউদ্দিন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৪০ এএম, ২৮ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
গত ১৮ ডিসেম্বর নিজ নির্বাচনি এলাকায় একটি উঠান বৈঠকে কুমিল্লা-৬ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বাহাউদ্দিন বাহার বলেছিলেন, যদি কোনো বিএনপি এবং জামায়াতের কর্মীকে কোনো প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া যায় তার হাত-পা ভেঙে দেবেন। তার এমন বক্তব্য মুহুর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও ফুটেজসহ দেশের বিভিন্ন টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হলে তা ইসির অনুসন্ধান কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি)’র শোকজ নোটিশও পাঠায়।
এ বিষয়ে বাহাউদ্দিন বাহারের বক্তব্য, তিনি আবেগ তাড়িত হয়ে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর কাছে আইনি পরামর্শ চাইতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, যারা নির্বাচন প্রতিহতের নামে বাসে-ট্রেনে আগুন দিচ্ছে, মানুষ হত্যা করছে। এসব কথা বলতে গিয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের হাত-পা ভেঙে দেয়ার কথা বলেছি। যা নির্বাচনি আচরণবিধির লঙ্ঘন। এছাড়া আর কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘যেদিন আমি বক্তৃতা করি, তার ঠিক আগের দিন একজন রিকশাওয়ালা মারা গেছেন। পত্রিকায় আমি এভাবে পেয়েছিলাম, একজন রিকশাওয়ালা তার সন্তানদের লেখাপড়া করান। তিনি সেদিন একটি গ্যারেজে ঘুমিয়েছিলেন। সেখানে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। কারণ তারা (বিএনপি) নির্বাচন প্রতিহত করতে চান। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর দুদিন হাসপাতালে কষ্ট পেয়ে মারা গেছেন।
ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। একজন নারী ও একটি শিশু মারা গেছে। এগুলো আমাকে মানসিকভাবে যন্ত্রণা দিয়েছে। যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চায়, তাদের বিষয়ে বলেছিলাম। তারা তো প্রতিহতের নামে মানুষ হত্যায় লিপ্ত। ২০১৪ সালে তারা চার থেকে পাঁচশত ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল। যাতে ওই কাজগুলো তারা না করতে পারে, সে জন্য মানসিক জোর বাড়াতে এমন কথা বলেছি।’
এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মাত্র কয়েকজন নিয়ে একটি থানা দখল করেন। সেখান থেকে বেশ কয়েক জন নারীকে মুক্ত করে তার বাহিনী। কিন্তু স্বাধীনতার এতো বছর পরেও দেশ নারী-শিশুদের জন্য নিরাপদ হয়নি।