প্রচারণাকালে প্রার্থীর কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় ভোটারকে মারধর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:৪৬ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজের (ঈগল প্রতীক) প্রচারণাকালে পাওনা টাকা চাওয়ায় এক ভোটারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির বিহিগ্রামের রফিকুল ইসলাম আনজু নামের এক ব্যক্তি থানায় এই অভিযোগ করেন।
তবে প্রার্থী ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার কর্মী-সমর্থকের ওপর হামলার ঘটনায় তিনিও থানায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় ফেরদৌস স্বাধীন তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিহিগ্রাম স্কুল এলাকায় ঈগল প্রতীকের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এ সময় পাওনাদার রফিকুল ইসলাম আনজু ওই প্রার্থীর কাছে পাওনা টাকা চাইলে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। সেখানে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে প্রার্থী ফেরদৌস স্বাধীনের সমর্থক আফজাল হোসেন তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। এতে তার ছেলে আরিফুল ইসলাম আলিফ বাবাকে (আনজু) রক্ষার জন্য এগিয়ে এলে ঈগল প্রতীকের অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন কর্মী-সমর্থক লাঠিসোটা দিয়ে তাকেও এলোপাথাড়ি মারপিট করে আহত করেন। আহত আলিফকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম আনজু বলেন, আমার মেয়ের চাকরির জন্য ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজকে ৮-১০ বছর আগে দুই লাখ টাকা প্রদান করি। পরবর্তীতে তিনি আমার মেয়েকে চাকরি দিতে ব্যর্থ হন। টাকা চাইতে গেলে তালবাহনা করতেন। তিনি এলাকায় ভোট করতে এসেছেন শুনে তার কাছে টাকা চাইতে গেলে আমাদের মারপিট করেন।
তবে ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ বলেন, আনজু চাকরির জন্য আমাকে কোনো টাকা পয়সা দেননি। বরং নির্বাচনী প্রচারণাকালে তারা আমার এক সমর্থককে মারপিট এবং ছয়টি মোটরসাইকেল ভেঙে ফেলেছেন। তারা টাকা পেলে মামলা করতে পারেন। কিন্তু তারা প্রতিপক্ষ প্রার্থীর ভোট করছেন, এজন্য ভোটের মাঠে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। কর্মী-সমর্থকের ওপর হামলার ঘটনায় আমিও থানায় অভিযোগ করেছি।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, দুটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।