সবজি বিক্রি করে ফেরা হলোনা আসলামের
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৫৭ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ছুটে যেতেন ঢাকায়। গফরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সবজি কিনে ঢাকায় বিক্রি করতেন। প্রায় প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করতেন। আজই যে শেষ যাত্রা তা জানা ছিলো না সবজি বিক্রেতা মোঃ আসলাম মিয়ার (৩০)। স্বজনদের আহাজারিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
জানা যায়,আসলাম মিয়া শাকসবজি, মুরগী, ডিম,কবুতরের বাচ্চা সহ ১৫ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে ট্রেনের ইঞ্জিনে চড়ে গফরগাঁও থেকে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেক্স ট্রেনে যাত্রা করেন । গাজীপুরের ভাওয়াল রেল স্টেশন এলাকায় ইঞ্জিনসহ বগি লাইনচ্যুত হয়ে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেক্স ট্রেনের দূর্ঘটনায় নিহত হন। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের মৃত মোছলেম উদ্দিনের ছেলে।
আসলামের মৃত্যুর সংবাদে স্বজনদের কান্নার রোল পড়ে যায়। স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বলেন, ২ ছেলে শুভ (১১),আবু রায়হান (২) ও ১ মেয়ে আরিফা (৮)। এই সন্তানদের কি হবে। আহাজারী করে তিনি আরও বলেন,আমার জামাই নির্দোষ গো আমার জামাইয়ে তো কোন দোষ করছে না তাহলে আজ কেন আমাদের এই অবস্থা এবং দ্রুত লাশ হস্তান্তরের দাবী জানাই।
মা হোছনা খাতুন বলেন, আমার বাবা লাশ হয়ে গেছে আমার বাবাকে আমার কুলে আইনা দেন। আমার বাবাকে যারা মারলো তাদের বিচার চাই। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া নিহতের ছেলে শুভ মিয়া বলেন যাদের জন্য ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা গেছে তাদের বিচার চাই।
প্রতিবেশী বাদল মিয়া বলেন, আসলাম খুব ভালো ছিলো। কাঁচামাল সবজির ব্যবসা করতো। ২০০১ সালে তাঁর এক চাচা দুদু মিয়া রাজনৈতিক মামলার পর বাড়ী থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। আজো হদিস মিলেনি। আজকে আসলামের মৃত্যুতে এই পরিবারের অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেছে।
প্রতিবেশী জলিল মোল্লা বলেন সাত আট জনের সংসার আসলামের উপার্জনেই চলতো। সে আজ ট্রেন দূর্ঘটনা মারা গেছে গরিব মানুষ এখন এই সংসার কেমনে চলবে। আসলামের পরিবারের জন্য সরকারের কাছে সহায়তা চাই এবং যারা এই ঘটনায় দায়ী তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।