বরাদ্দের আগে প্রতীক বানিয়ে প্রচারণা, জরিমানা গুনলেন জাপা প্রার্থী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:৫৮ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ইরফান বিন তোরাব আলী
কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ইরফান বিন তোরাব আলী প্রতীক বরাদ্দের আগেই সড়কের ওপর প্রতীক সম্বলিত তোরণ নির্মাণ করে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। খবর পেয়ে প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সেই তোরণটি ভেঙে ফেলেন। একইসঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাচন কমিশন আইন ২০০৮ অনুযায়ী প্রার্থী যিনি চূড়ান্তভাবে প্রার্থী ঘোষণার পরে প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই নির্বাচনি প্রচারণা করতে পারবেন একজন প্রার্থী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী বরুড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ইরফান বিন তোরাব আলী বরুড়া পৌরসভার নয়নতলায় অবস্থিত উপজেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে সড়কের ওপর ওই গেইট নির্মাণ করেছেন।
সড়কের ওপর বাঁশ দিয়ে নির্মিত ওই গেটের চারপাশে সাদা সামিয়ানায় মোড়ানো। সামিয়ানার ওপর দুপাশের দুই দিক ও উপরের পাশে উভয় দিকে মোট ৬টি রঙিন ব্যানার লাগানো। যার প্রতিটিতেই জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যানদের ছবিসহ দলীয় প্রতীক লাঙল দেওয়া। প্রতিটি ব্যানারে লেখা আছে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ড. ইরফান বিন তোরাব আলীকে লাঙল মার্কায় ভোট দিন। যা নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী সুস্পষ্ট আচরণবিধি লঙ্ঘন।
ঘটনার বিষয়ে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ইরফান বিন তোরাব আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার কর্মী সমর্থকরা এ কাজটি করে থাকতে পারে। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। এমন কিছু করে থাকলে আমাকে দেখান, আমি তা সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিব।
এদিকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মঈন উদ্দিন। এ সময় ঘটনার সত্যতা পেয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন তিনি। মোবাইল কোর্টে ঘটনার সত্যতা পেয়ে লোকজন দিয়ে প্রতীক সম্বলিত তোরণটি ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ওই প্রার্থীর ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মঈন উদ্দিন।
ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নু এমং মারমা মং বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এসিল্যান্ডকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই প্রার্থীকে শোকজ করা হবে।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসাইন খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতীক বরাদ্দে আগে এসব প্রচার প্রচারণা আচরণবিধি লঙ্ঘন।