সাবেক আইজিপিকে সরিয়ে নৌকার মাঝি হলেন সাবেক ডিআইজি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩০ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:০৬ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ছবি : সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ- ২ আসন থেকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদকে সরিয়ে নৌকার মাঝি হলেন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল কাহার আকন্দ। গত রোববার (২৬ নভেম্বর) নৌকার মনোনীত প্রার্থী আব্দুল কাহার আকন্দের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
জানা যায়, নূর মোহাম্মদ কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত ওই সংসদীয় আসনে জয়ী হলেও স্থানীয় রাজনীতিতে তার নিয়ন্ত্রণ ছিল না। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তার বিপক্ষে অবস্থান নেন সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন এবং পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ এলাকার রাজনীতিতে প্রভাব তৈরি করতে গেলে বাধে বিরোধ। দফায় দফায় মারামারি, সংঘর্ষে জড়ান দুই পক্ষের অনুসারীরা। দুই বছর আগে পাকুন্দিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হন সোহরাব।
পাকুন্দিয়ায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে কমিটি হচ্ছিল না। নতুন করে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের চেষ্টা করেছিলেন সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ। এসব নিয়ে সৃষ্টি হওয়া কোন্দল কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ হস্তক্ষেপ করেও থামাতে পারেনি। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নজরেও আনা হয় বিষয়টি। পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অংশ না নিতে নূর মোহাম্মদকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল।
নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এলাকায় একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিলেন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সাবেক সচিব মো. আবদুল মান্নানের সঙ্গেও বিরোধ দেখা দেয় তার। গত ১৫ জুলাই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছিলেন আবদুল কাহার আকন্দ। ওই সময় তিনি দাবি করেন, তার সভায় হামলা করেছিলেন নূর মোহাম্মদের সমর্থকেরা।
এদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেলহত্যা মামলা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, বিডিআর বিদ্রোহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন আবদুল কাহার। ২০১৯ সালে পুলিশের চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকেই নৌকার মনোনয়ন পেতে এলাকায় জনসংযোগ করছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় গত জুলাইয়ে সরকারের উন্নয়ন প্রচারের জন্য তার আয়োজিত এক সভায় ভাঙচুর চালায় ২০ থেকে ৩০ জনের একটি দল।