মরা গ্রাহকের ওপর খাড়ার ঘাঁ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ নভেম্বর,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:১৩ এএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রি হওয়া ট্রান্সফরমার স্থাপন করতে গ্রাহককে নতুন ট্রান্সফরমারের অর্ধেক মূল্য পরিশোধ করতে হয়। সে অনুযায়ী ১টি ট্রান্সফরমারের জন্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় বার চুরি হলে গ্রাহককে ট্রান্সফরমারের সম্পূর্ণ টাকা দিতে হয়। সে অনুযায়ী প্রায় লাখ টাকা গুনতে হবে। নিয়মিত বিল দিয়েও লাইনের এসব ত্রুটিতে জরিমানা দেওয়াটা গ্রাহকের রীতিমতো মরার ওপর খাড়ার খাঁ। এ নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে গ্রাহকদের। চুরি ঠেকাতে বিশেষ কেনো উদ্যোগ না নেওয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওপর ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা। চুরি বন্ধে রাতে টহল পুলিশের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনেরও দাবী তাদের।
সরেজমিনে জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন শ্রীপুর জোনাল অফিসের এরিয়া ডিরেক্টর ও ভাংনাহাটি গ্রামের এমদাদুল হকের বাড়ির সামনে থেকে ৩টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। বিষয়টি নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি। বলেন,“সিসি ক্যামেরায় ধারণের মাধ্যমে দেখলাম, মধ্য রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঠিক ৫-৬ মিনিট পরপরই খুঁটিতে চোর উঠেছে। তাইলে পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্টদের কারো যোগসুত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
এছাড়াও এমন ব্যস্ততম সড়কের চুরি হলো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও দায় এড়াতে পারে না”। উজিলাব গ্রামের মনির হোসেন বলেন,“আমাদের বাড়ির পাশে ট্রান্সফরমার নিতে এসে বিদ্যুতায়িত হয়ে একজন মারা গেছেন। আমরা বিল দেই, তাইলে রাত জেগে লাইন পাহারা দিবো কেনো?। এটার দায়িত্ব তো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির”।
এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে জানান ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম রফিকুল আজাদ। বললেন,“দেশের এ অবস্থায় কথা বলা যাবেনা”।
এবিষয়ে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আকমল হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন,“আমাদের লোকজন লাইনের নিরাপত্তায় কাজ করে। কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলের লাইনে গভীর রাতে একটি চক্র এ কাজে জড়িত হচ্ছে। আমরা পুলিশ বাহিনীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আসলে চুরি ঠেকাতে গ্রাহক,সমিতি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি”।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন,“অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে একজন আসামিও ধরা পড়েছে। ২জনের মৃত্যুও হয়েছে। রাত্রীকালিন সময়ে আমাদের টহল পুলিশ নিয়মিত মাঠে থাকে”।