অবরোধের ৪ ঘণ্টা পর ব্যাংকের পরীক্ষা, লাখো চাকরিপ্রত্যাশী বিপাকে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:৪০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ফাইল ছবি/সংগৃহীত
দেশে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। অবরোধ-হরতালের ডাক দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফার অবরোধ চলবে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত। এরপর আবারও নতুন কর্মসূচির ডাক দিতে পারে দলগুলো।
তবে এখন পর্যন্ত শুক্র ও শনিবার অবরোধ বা হরতালের মতো কর্মসূচির ডাক দেয়নি দলগুলো।
অবরোধের মধ্যে চাকরির পরীক্ষা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন লাখো চাকরিপ্রত্যাশী। শুক্রবার ভোর ৬টায় অবরোধ শেষ হওয়ার মাত্র ৪ ঘণ্টা পর চাকরির পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে তাদের। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে সমন্বিত ১০ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা।
পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার মৌখিক ও লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। তবে সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত সময়ে সমন্বিত ব্যাংকের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যসচিব মো. সাঈদুর রহমান খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এর আগে একবার পরীক্ষাটি পেছানো হয়েছে।
ফলে ১০ নভেম্বরই পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে।’
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সমন্বিত ১০ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র অফিসার (জেনারেল)-এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৯২২টি শূন্যপদের বিপরীতে সারা দেশ থেকে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন এক লাখ ৬৯ হাজার ৮৯৭ জন প্রার্থী। রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ৫৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেবে কর্তৃপক্ষ।
চলমান অবরোধে দেশের প্রায় সব দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সারা দেশ থেকে রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে যে বাস আসছে কিংবা রাজধানী থেকে ছেড়ে যাচ্ছে তা খুবই নগণ্য। ফলে এই এক লাখ ৬৯ হাজার শিক্ষার্থী কিভাবে শুক্রবারের পরীক্ষায় অংশ নেবে তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে ব্যাংকের পরীক্ষা দিতে ঢাকা আসবেন সুমাইয়া পরভীন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অবরোধের কারণে বাস বন্ধ। অনেক কষ্ট করে ট্রেনের টিকিট পেয়েছি। হরতাল-অবরোধের মধ্যে বাধ্য হয়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। দেড় লাখ মানুষের কথা চিন্তা করে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।’
রবিউল রানা নামের এক পরীক্ষার্থী তার ফেসবুকে লিখেছেন, ঢাকায় যারা থাকে, ‘তারা প্রায় সবাই পরীক্ষা দিতে পারবে। ধারণা করা যায়, ঢাকার বাইরে থেকে উপস্থিতি অনেক কম হবে। শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত অবরোধ থাকবে। অনেক জেলা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে দূরপাল্লার বাস ছাড়বে না। পরীক্ষার্থীদের সাথে এক প্রকার বৈষম্যমূলক আচরণ হয়ে গেল।’
এদিকে রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে অনুষ্ঠিতব্য ৮ থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত অন্তত সাতটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।