avertisements 2

দাম্পত্য সমাধানে এসে ট্রিপল মার্ডার, ভাগ্নিজামাই জহিরুল কাঠগড়ায়

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:৪১ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

জেকিয়া আক্তার, সাত মাস বয়সী শিশু ওজিহা (কোলে) ও ছোট ছেলে মহিন (ইনসেটে জহিরুল) ছবি : সংগৃহীত

গত বছরের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন জহিরুল ইসলাম। স্ত্রী অনামিকা অন্তঃসত্ত্বা। তবে স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। যে কারণে বেশ কিছুদিন ধরে তার স্ত্রী শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন।
অনেক চেষ্টা করেও কোনোভাবেই স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে নিতে পারছিলেন না জহিরুল।

জহিরুলের ধারণা, খালাশাশুড়ি জেকির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যে কারণে তার কাছে ছুটে আসেন তিনি। কথা বলার এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
এর জের ধরেই প্রথমে খালাশাশুড়ি জেকি আক্তার ও পরে তার দুই ছেলেকে হত্যা করেন। সাত মাসের শিশু ওজিহা সাক্ষ্য দিতে পারবে না ভেবে তার ওপর কোনো আঘাত হানেননি জহিরুল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ট্রিপল মার্ডারের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন জহিরুল ইসলাম। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সৌম্যের আদালতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
এর আগে পুলিশের কাছেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি জানান, ঘটনার প্রায় ২০ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ জহিরুলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। নিহত জেকি আক্তারের সঙ্গে জহিরুলের স্ত্রী ও শাশুড়ির মোবাইল ফোনের আলাপচারিতার সূত্র ধরেই ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয়। এ ছাড়া স্থানীয়রাও এ বিষয়ে সহযোগিতা করেছে।
ঘটনার রাতে এক ব্যক্তি ওই বাড়িতে এসেছিল বলে তারা পুলিশকে তথ্য দেয়।

এদিকে বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে হত্যাকাণ্ডের শিকার তিনজনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে স্বজনদের কাছে নিহতদের লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। 

এ ঘটনায় জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে জহিরুল ইসলামকে আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও একটি বাটাল উদ্ধার করেছে। ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কি না, সে বিষয়েও তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানি গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলম সরকারের স্ত্রী জেকি আক্তার, তার দুই ছেলে মাহিন ও মহিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ওজিহা নামে জেকি আক্তারের সাত মাসের শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

ঘটনা সম্পর্কে বুধবার বিকেলে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সোনাহর আলী শরীফ। এ সময় জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জয়নাল আবেদীন, বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন, বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মো. নূরে আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2