হাসপাতাল বোরকা পরে নারী সেজে চুরি করতে গিয়ে যুবক ধরা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ অক্টোবর,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:১২ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরে বোরকা পরে নারী সেজে হাসপাতালে চুরি করতে গিয়ে রোগীর স্বজন ও গার্ডদের হাতে ধরা পড়েছে এক যুবক। আটক যুবককে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। অভিনব কায়দায় চুরির চেষ্টা শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ফরিদপুর শহরের ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বোরকা পরে নারী সেজে রোগী ও স্বজনদের অর্থ ও মালামাল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে সালমান (৩০) নামে এক যুবক। মো. সালমান শহরের আলীপুর খাঁ পাড়ার বাসিন্দা। শহরের নিউ মার্কেটে তার একটি বোরকার দোকান রয়েছে। পরে তাকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, লিফটের মধ্যে বোরকা পরা ওই যুবক এক ব্যক্তির পকেট থেকে ৭ হাজার এবং আরেক ব্যক্তির পকেট থেকে ১৪ হাজার টাকা নেয়। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই বোরকা পরা যুবককে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে হাসপাতালের কাউন্টারে নারীদের লাইনে দাঁড়ালে ওই যুবকের শরীরের সঙ্গে স্পর্শ লাগে এক নারীর। তখন ওই নারী বিষয়টি টের পেয়ে তাকে বোরকা খুলতে বললে ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করে। তখন রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো বলেন, ‘বোরকা পরে ওই যুবক অভিনব কায়দায় নারী সেজে রোগী ও স্বজনদের অর্থ, মোবাইলসহ মালামাল চুরি করার উদ্দেশে হাসপাতালে আসে। বিষয়টি রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা টের পেয়ে তাকে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে মাঝে মধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটছে। আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদারের ব্যবস্থা করছি।’
এদিকে ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের দাবি, সে একজন হাফেজ ও মাওলানা। ওই যুবকের শহরের নিউমার্কেটে বোরকার দোকান রয়েছে। হাফেজ হওয়ায় তার জিনের সমস্যা আছে। মাঝে মধ্যেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
আটক যুবকের ছোট ভাই সাঈদ বলেন, ‘আমার ভাই এ ধরনের মানুষ না। তিনি একজন হাফেজ ও মাওলানা। তার জিনের আছর আছে। এর আগেও চট্টগ্রামে বেড়াতে গিয়ে এধরনের সমস্যা হয়েছিল। আজকে যা ঘটেছে এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন, ‘ওই যুবককে হাসপাতালের রোগীর স্বজন ও নিরাপত্তারক্ষীরা ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।