ধর্ষণচেষ্টার সময় মসজিদের ইমামকে হত্যা, নারীর যাবজ্জীবন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:৫২ এএম, ২৩ নভেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ১১:৪১ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ধর্ষণচেষ্টার সময় মসজিদের ইমাম মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় ময়না আক্তার নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ময়নার ভাই মনির হোসেনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ময়নাকে ২ লাখ ও মনিরকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেছেন আদালত।
কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম রোববার (২২ নভেম্বর) সকালে এ রায় দেন। এ সময় দুই আসামি এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, কিশোরগঞ্জ সদগর উপজেলর বৌলাই পূর্বভরাটি গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান পেশায় ইমাম ছিলেন। তিনি জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর কোনাপাড়া গ্রামের সাবেদ আলী ও নূরচান মেম্বারের পারিবারিক মসজিদে ইমামতি ও মক্তবে শিক্ষকতা করতেন।
২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৩টার দিকে উসমানপুর এলাকায় বাজরা-চৌমুড়ি পাকা রাস্তার পাশ থেকে ইমাম মিজানুর রহমানের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বড় ভাই মো. নূরুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দণ্ডপ্রাপ্ত ময়না আক্তার ও তার ছোট ভাই মনিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালতে দাখিল করা অভিযোপত্রে বলা হয়, ঘটনার দিন গভীর রাতে ঘরে ঢুকে প্রবাসী নজরুল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তারকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান ইমাম মিজানুর রহমান। এ সময় ময়না লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাস রোধ করে মিজানকে হত্যা করা হয়। পরে ময়নার ছোট ভাই মনিরের সহযোগিতায় লাশ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে একটি পরিত্যক্ত জায়াগায় ফেলে রাখে। স্থানীয়রা বস্তাভর্তি লাশ দেখে খবর দিলে পুলিশ সেই লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুলিয়ারচর থানার এসআই কোহিনূর মিয়া আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।