মসজিদে মাইকিং করে পুলিশ সদস্যদের পেটাল জনতা!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:২৮ এএম, ১৫ নভেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ০৭:০৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গেলে মসজিদের মাইকে ডাকাত অ্যাখ্যা দিয়ে পুলিশকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আমিনুল ইসলাম (৫৫), মারুফ খান (১৮), সামছুজ্জামান (২৮) ও ওয়াসিম (২৯)।
মামলার বাদী এএসআই নুরুজ্জামান মামলায় উল্লেখ করেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. বিল্লাল হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি পশ্চিমপাড়া আমিনুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান করছে- এমন খবরে তিনি রাত ১২টা ১০ মিনিটে স্থানীয় নাইটগার্ড নাসিরকে (৪০) সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে যান।
পরবর্তীতে ওই বাড়ির মালিক আমিনুল ইসলামকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন আসামি তার বাড়িতে অবস্থান করছে কিনা। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তারা বাড়ির দরজা না খুলে ভেতর থেকে পুলিশকে উদ্দেশ করে বিভিন্ন ধরনের অশালীন ও উদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা বলতে থাকেন বলে উল্লেখ করা হয় মামলায়।
এ সময় এএসআই নুরুজ্জামান অন্যান্য পুলিশ সদস্যসহ আসামি যে রুমের ভেতরে অবস্থান করছে সেই রুমে যাওয়ার পর বাড়ির মালিক আমিনুল স্থানীয় মসজিদে ফোন করে বলেন যে, বাড়িতে ডাকাত এসেছে, মসজিদে মাইকিং করতে হবে।
তার কথার ভিত্তিতে মসজিদে মাইকিং করার পর উল্লেখিত ১৩ আসামি ছাড়াও ৩০-৪০ জন লোক এসে তাদের পরিহিত পোশাক ধরে টানাহেঁচড়া করে।
মামলায় তিনি আরও উল্লেখ করেন, তাদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করা হয়। পরবর্তীতে এ বাড়িতে আসামি ধরতে এলে তাদের খুন করার হুমকি দেয়া হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে।
তবে ব্যস্ততা দেখিয়ে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কিছু বলতে চাননি মামলার বাদী এএসআই মো. নুরুজ্জামান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরীফ বলেন, রাত ১২টার দিকে ওয়ারেন্ট আসামি ধরতে জালকুড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকায় গেলে সেখানে পোশাকধারী ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের ডাকাত আখ্যা দিয়ে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।