নকল দুধ তৈরি সয়াবিন-সোডা-চিনিতে, পাঠানো হতো ঢাকায়
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:২২ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ক্রিম সেপারেশন মেশিনের মাধ্যমে আসল দুধ থেকে তুলে নেয়া হতো ক্রিম। এরপর পানির সঙ্গে সয়াবিন, কস্টিক সোডা ও চিনি দিয়ে তৈরি করা হতো কৃত্রিম দুধ। পরে আসল দুধের সঙ্গে নকল দুধ মিশিয়ে ঘনত্ব বাড়িয়ে পরিমাণ বাড়ানো হতো। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই ভেজাল দুধ তৈরি করে পাঠানো হতো ঢাকায়।
এমন ভেজাল দুধ তৈরির অপরাধে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ হাসান খান এ অভিযান পরিচালনা করেন। এই সময় প্রায় দেড় বস্তা কস্টিক সোডা জব্দ করা হয়।
মাসুদ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও দুগ্ধ সমবায় সমিতির ম্যানেজার। মাসুদের অপর দুই সহযোগী একই গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক ও শামীম। অভিযুক্তরা এর আগে, বিভিন্ন দুগ্ধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ভবানীপুর গ্রামে ভেজাল দুধ তৈরি ও বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মী মাসুদের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন। কিছুক্ষণ পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে কস্টিক সোডা জব্দ করে মাসুদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় মাসুদের সহযোগী শামীম ও সিদ্দিক পালিয়ে যান।
গ্রামবাসী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা নকল দুধ বাজারজাত করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের শাস্তি মাত্র ৫০ হাজার টাকা। যা তাদের একদিনের আয়ের সমানও নয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রুমানা আক্তার বলেন, ‘কস্টিক সোডা মানবদেহে জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। একদিকে দুধের মূল উপকারী উপাদান সরিয়ে ফেলে ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে মারাত্মক অপরাধ করেছে তারা। শাস্তি হিসেবে তাদের প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া যেতে পারত।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এই জরিমানা করা হয়েছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হবে, প্রয়োজনে পরে সাধারণ মামলা দেওয়া হবে।’