avertisements 2

 সৌদিতে নিহত ওমরাহ যাত্রী সবুজের বাড়িতে বুকফাটা আর্তনাদ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৯ মার্চ, বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:২৫ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪

Text

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছেলের শোকে মায়ের আর্তনাদ, ইনসেটে নিহত সবুজ। ছবি সংগৃহীত 

সৌদি আরবে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে সবুজ হোসাইনের গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের মাঝে চলছে মাতম। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে সবুজের বাবা-মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ আর কান্না থামছে না। ছেলের মৃত্যুর খবরের পর থেকে আশপাশের লোকজন তাদের বাড়িতে ভিড় জমান।

বুধবার (২৯ মার্চ) ভোরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের বাড়িতে গেলে সবুজের বাবা-মাসহ স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সবুজ দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মো. হারুনের ছেলে। তারা চার ভাই-বোন। এর মধ্যে সবুজ পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান।

সবুজের বাবা হারুনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবুজের বাবা হারুন মাছ বিক্রি করে সংসার চালান। আর্থিকভাবে তেমন একটা সচ্ছল নন। প্রায় তিন বছর আগে বড় ছেলে সবুজকে ধার-দেনা করে চাকরির উদ্দেশ্যে সৌদি আরব পাঠানো হয়। সেখানে তিনি একটি খাবার হোটেলের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তার পাঠানো টাকায়ই পরিবার সচ্ছলতার মুখ দেখেছে। সবুজ শিগগিরই দেশে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মানুষের পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য দেশে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। 

রবিবার (২৬ মার্চ) ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য বাসের টিকিট কাটেন সবুজ। বিষয়টি তিনি বাড়িতে মা পারুল বেগমকেও জানিয়েছেন। ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগেও মোবাইল ফোনে বাড়িতে কথা হয়েছিল। কিন্তু পথে দুর্ঘটনায় সবুজ নিখোঁজ হন। পরে সবুজের মৃত্যুর খবরে পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে শুরু হয় আর্তনাদ। 

প্রসঙ্গত, সোমবার (২৭ মার্চ) বিকেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওমরাহযাত্রীদের বহনকারী একটি বাস ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আলাবা শার এলাকার একটি সেতুর সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে বাসটি উল্টে যায় ও একপর্যায়ে সেটিতে আগুন ধরে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2