রাস্তার বাঁক যখন মরণ ফাঁদ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ জানুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:৫০ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নীলফামারী জেলা শহরের বাইপাস রাস্তাটি কালিতলা থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত ৭ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার। রাস্তাটি বাইপাস নয় যেন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে পথচারীদের। রাস্তাটি যেতে ৪২টি বাঁক পার হতে হয়। গত তিন বছর আগে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অর্থায়নে ২৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালিতলা থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত ৪২ মোড়ের দুই ধারে রয়েছে অনেক দোকান ও বসত বাড়ি। যে কারণে দুর্ভোগে পড়েন বাস, ট্রাক, নাইট কোচ পথচারীসহ দূরপাল্লার ভারী যানবাহন। প্রতিনিয়ত অনেক ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে এই সড়কে। সড়কটি ২১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে উদ্বোধন করা হলেও আঁকা-বাঁকার কারণে বাইপাস রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করছেন না কোনো ভারী যানবাহন।
জেলা শহরের ব্যবসায়ী রনজিত রায় আমাদের সময়কে বলেন, ‘কালিতলা মোড় থেকে বাইপাস সড়কটি চালু হলে শহরটি যানজট মুক্ত হবে। বিশেষ করে সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকাগামী নাইট কোচ বিআরটিসিসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচলে সড়কটি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই সময় অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও জরুরি কাজের গাড়িগুলো শহরের মাঝপথে আটকা পড়ে যায়। বিভিন্ন দুর্ঘটনাতো প্রতিনিয়ত আছেই।’
জেলা শহরের ব্যবসায়ী রাজ্জাক মিয়া বলেন, ‘নীলফামারী শহরে একটি মাত্র রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। এছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, মূমূর্ষ রোগী ও উত্তরা ইপিজেডের হাজার হাজার চাকরিজীবী ছেলে-মেয়ে ও বাস ট্রাক একই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এতে প্রায় অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই বাইপাস সড়কের ৪২টি আঁকাবাঁকা সোজা রাস্তা করে জরুরি চালুর দরকার। বাইপাস রাস্তাটি চালু হলে হাজারও পথচারী দুর্ভোগ থেকে মুক্ত পাবে।
জেলা শহরের তোহা ক্লাসিক কোচের মালিক মো. আবু তাহের বলেন, ‘আমরাও চাই শহরটি যানজট মুক্ত হোক। কিন্তু বাইপাস সড়কের যতোগুলো বাঁক পার হতে হয় এতে বড় গাড়ির যাতায়াত কোনো মতেই সম্ভব না। তাই দ্রুত সড়কটি সোজা ও প্রশস্ত করার আহ্বান জানাই।
নীলফামারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, ‘৭ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার সড়কে বাঁক পড়েছে প্রায় ৪০-৪২টি। এটি সোজা করার কাজ প্রক্রিয়াধীন। বাইপাস সড়কটি চালু বা সোজা করতে গেলে প্রায় ৮ দশমিক ৪ একর জমির প্রয়োজন। এটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সঙ্গে কথা চলছে। আশাকরি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে। এটি চালু হলে মূল শহর যানজট মুক্ত হবে।’