মাজারপূজারি সেজেও রক্ষা হলো না আব্দুর রউফের, অবশেষে ধরা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ জানুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:৫৫ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ছবি সংগৃহীত
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মাদক কারবারি আব্দুর রউফ গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে গিয়ে হয়ে যান মাজারপূজারি। অবশেষে চলনবিলের তিশিখালি মাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) নন্দীগ্রাম থানার এএসআই আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা সোনাপুকুর এলাকার মৃত আতাহার আলীর ছেলে আব্দুর রউফ (৪২)। তিনি থাকেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিলের তিশিখালি মাজারে।
জানা যায়, রউফ ২০২০ সালে আত্মগোপনের আগে তার হালকা গোঁফ ছিল। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর তার বড় গোঁফের সঙ্গে লম্বা এবং জটা দাড়ি দেখা গেল। মাথার চুলগুলোও প্রায় দেড় ফুট লম্বা। গলায় বেশ কয়েকটি তসবিহর সঙ্গে আছে তাবিজ এবং হাতে বালার জটলা। নিজেকে গোপন রাখতে চেহারার পরিবর্তন এনেছেন রউফ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার।
এএসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, একটি মাদক মামলায় আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রিসিভ করেন তিনি। গত সাড়ে তিন বছর অনেক সোর্স কাজে লাগিয়েও তার অবস্থান জানতে পারেননি। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মাদক মামলায় ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় আসে। পরে বেশ কয়েকজন সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারেন রউফ বর্তমানে চলন-বিলের তিশিখালি মাজারে অবস্থান করছেন।
তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার সিংড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় রউফ গ্রেপ্তার করা হয়। সে রণবাঘায় প্রথম স্ত্রী রেখে আত্মগোপনের পর আসমা নামের এক জটা পাগলিকে বিয়ে করে তিশিখালি মাজারেই থাকতেন।