কোটায় কাঁটা
অজল জালাল
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ আগস্ট,শনিবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:০২ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
সেদিন সূর্যটা কম আলো নিয়ে এসেছিল
বলাটা ভুল হবে কি!
মসজিদের পাশে শায়িত কবির শিয়রে
শিউলিটা পল্লবিত হতে চেয়েছিল কি!
মধু'দার উত্তর পুরুষেরা ক্যান্টিন খুলে
চা সিঙ্গাড়ার ডালি সাজিয়েছিল কি!
টিএসসির করিডোরে উচ্ছ্বল তারুন্য
হাতে হাত রেখে বাদাম চিবিয়েছিল কি!
সর্বত্রই আবছা আলো ফ্যাকাশেও বটে!
শ্বৈরাচারী ঝাঁঝ একটু বেশীই ছিল সেদিন
নাম্বার টু তো নাস্তার টেবিলটাকেই বক্তৃতা মঞ্চ
ভেবে এক প্রস্থ বয়ান দিলেন।
ওরা নিরস্ত্র সাধারন ছেলে ছোকরা
নিজেদের মেধার মুল্য চায়।
রাস্তায় নেমেছে, দেশ সেবকের কাছে
তাদের মৌলিক অধিকারের দাবি নিয়ে।
দুটো বাক্য আধার থেকে ছুটে এল -
কোটা কি রাজাকারের নাতিপুতিদের দেব!
এদের সাইজ করতে আমার ছাত্ররা প্রস্তুত।
ব্যাঁশ! ভীমরুলের চাক ভাঙ্গার দৃশ্য
বীরদর্পে বিরাজনীতির নিরীহ স্বপ্নচারীদের
জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয়ার মিশন শুরু।
অবশেষে তিন দিনের ম্যাসাকারে শতাধিক
তরুন যুবা পথচারীর অকাল প্রয়ান।
বেয়াদবির একটা সীমা থাকা দরকার।
ফেমিলি ডাইনেষ্টি বলে কথা!
পিতৃকুলের রক্ষী তান্ডব - মনে নেই!
ক্ষমতা দন্ডের মোহে এসব ঘটে বার বার
মোল্লাদের হেফাজত, সেখানেও দেখেছি
সাউন্ড গ্রেনেড আর বুলেটের খান্ডবদাহন।
এইতো সেদিন তেইশের অক্টোবর, রনক্ষেত্র পল্টন, যেন রাজনীতি নির্মুলের চিত্রনাট্য।
কি হবে আমাদের! আমরা যাব কোথায়?
কি যে বল! পরম্পরার বরাত বলে কথা।
বিরুদ্ধবাদ বন্ধ কর,উন্নয়নের শ্লোগান ধর
যা বলি শোন - নইলে কপাটে খিল দাও।
জানোই তো হেলমেটের কচিকাঁচা ও
গোপালী মিলে ওরা জাগ্রত ফ্রন্টলাইনার।
আর দেড় দশকের কাঁটায় ভরা কোটা!
এক তুঁড়িতে এফোঁড় ওফোঁড়।