শৃংখলিত চরাচর
অজল জালাল
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩১ জুলাই,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ০২:২৫ পিএম, ২৯ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২৪
পারিপার্শিক অসাড়ত্বে নিরুৎসাহিত হই।
পঞ্চ ইন্দ্রীয়ের কাম ক্রোধ নাইবা থাকলো
কিন্তু অনুভূতির ইনস্টিংক্টগুলো!
সেখানেও তালা পড়েছে।
পত্রিকা ম্যাগাজিনে লেখালেখির অভ্যেস
হয়তোবা অখাদ্য, পাতে পড়ার অযোগ্য।
সমাজ রাষ্ট্র ব্যক্তির চরাচরে
গলিপথ রাজপথের অলিগলি চষে
সংগতি অসংগতির মেলবন্ধনে প্রণিপাত
অহর্নিশি! তবুও দৃষ্টান্ধ অসাড় ওরা।
নিদেনেতে বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ! তাতেও
গা ছমছম ভীত - বন্ধুরাও তাই।
উট পাখির সওয়ার হয়েছি আমরা।
লম্বা ঠ্যাঁঙে বিস্তীর্ণ তাঁতানো বালুচরে
মাথা গুঁজে বসে আছি কোটি জনতা
শেষ ঘন্টা বাজার অপেক্ষায়।
বাজবে কি তা? কখনই নয় -
কেন নয় তার অজুত সহস্র লাইন
লম্বা কিউ হয়ে অলিগলিতে কোঁকাচ্ছে,
এ কোন্ বিউগলের তারছেঁড়া সুর।
স্বপ্নের পরম্পরা! যেন অচেনা পড়শি।
অথচ কালি ও কন্ঠের প্রাপ্যতায়
পঞ্চপ্রাপ্ত হয়েই তো আমরা একুশ বেয়ে
একাত্তরে শির উঁচু মুক্ত বাঙালী।
চাইতে নেই কোনকিছু-প্রাপ্যতায় শতভাগ
পিতার সোনার বাংলা, পতিদেবের প্রথম বাংলাদেশ, আর স্বপ্নবাজ প্রেমিক কবি! তিনিও
দিয়ে গেলেন নতুন বাংলাদেশের শপথ।
আমরা ভাগ্যবান বটে! পিতা পতি প্রেমিক, উত্তরাধিকারীর কিউ চিহ্নের ডেমোক্র্যাসি।
পিতৃ হুংকারে এক তুড়িতে অটোক্র্যাসি
মেজরের মেকিং পলিটিক্স ডিফিক্যাল্ট
আর বিশ্ব বেহায়ার চাকচিক্যের মন্ত্র,
সুতি-জায়া! ওরা পিতা-পতির বাটখারা।
আস্থার ডেমোক্র্যাসি আজ অটোক্র্যাসি
হিপোক্র্যাসি অন্তে প্লুটোক্র্যাসির রেসে।
আমরা যাব কোথায়! বাজ পাখীর দৃষ্টি
আর ঈগলের থাবা, অবশেষে শকুনির চঞ্চু
খুবলে খামচে একাকার বাঙালী আজ-
তৃষ্ণার্ত সাহেবের গ্লাসে থুতু ছেঁটানো রুটস।
কাগজ কলমে সবকিছুই সহি সালামত
যা আছে সামনে ওটাই এবসুলিউট
নতুন খোঁজার চেষ্টায়-আয়না ঘরে ঠাঁই
পরিণতি গুম খুন - বেওয়ারিশ লাশ!
বার হাত কাঁকড়ের তের হাত বিচি
প্যাগাসাসের অক্টোপাসে শৃংখলিত চরাচর
খাঁচায় বন্দি বাঙালী যেন খোয়াড়ের গরু!
কার ঘাড়ে ক’টা মাথা ভিন্নমত পোষনে সক্ষম।