avertisements 2

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া এইচএসসির রেজিস্ট্রেশন ফি খরচ হয়ে গেছে: বোর্ড

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ১১ অক্টোবর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ১০:৩৮ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

এইচএসসি ও সমামানের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষা বাতিল করার কারণে এই পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া রেজিস্ট্রেশনের তিন হাজার টাকা ফেরত চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন দাবিই তুলেছেন তারা। অন্যদিকে শিক্ষাবোর্ড বলছে, পরীক্ষার সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছিল। সে কারণে ফি ফেরত দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, রেজিস্ট্রেশন ফি ফেরত দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। পরীক্ষা নেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল, প্রশ্নপত্র-উত্তরপত্র (ওএমআর সিট) তৈরি, পরীক্ষার সময়সূচিসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। এতে অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন থেকে পাওয়া অর্থ দিয়েই এসব কাজ করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর সার্বিক প্রস্তুতি আমাদের নিতে হয়েছিল। এ কারণে অর্থ ফেরত দেয়া সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের অর্থ দিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

তথ্যমতে, এইচএসসির ফরম পূরণের জন্য গত বছরের নভেম্বরে কেন্দ্র ফিসহ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের দুই হাজার ৫০০ টাকা, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের এক হাজার ৯৪০ টাকা করে ফি দিতে হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞানে কেন্দ্র ফি (ব্যবহারিক ফিসহ) ৮০৫ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্যে ৪৪৫ টাকা করে ফি নেয়া হয়েছে।

কেন্দ্রের ফি থেকে ট্যাগ অফিসারের সম্মানীসহ অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করতে বলা হয়। কিন্তু যাদের ব্যবহারিক বিষয় আছে তাদের টাকার সঙ্গে প্রতি পত্রের জন্য আরও ২৫ টাকা করে দিতে হয়েছে। এছাড়া ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়নে অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত পরীক্ষকের জন্য পত্রপ্রতি ২৫ টাকা করে কেটে নেয়া হয়েছে।

ফরম পূরণের জন্য একজন নিয়মিত শিক্ষার্থীকে প্রতি পত্রের জন্য ১০০ টাকা, ব্যবহারিক প্রতি পত্রের জন্য ২৫ টাকা, একাডেমিক/ট্রান্সক্রিপ্ট ফি ৫০ টাকা, সনদ ফি ১০০ টাকা, রোভার স্কাউট/গার্লস গাইড ফি ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি পাঁচ টাকা দিতে হয়েছে। বাস্তবে রাজধানীর অনেক কলেজ বোর্ডের ধার্য করা ফি’র চাইতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছে। বর্তমানে এসব অর্থ ফেরত চান পরীক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

এর আগে গত বুধবার (৭ অক্টোবর) এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত অনলাইন বৈঠকে পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এমন ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরীক্ষার ফি হিসেবে নেয়া ৩ হাজার টাকা ফেরতের দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে রেজিস্ট্রেশন ফি ফেরতের দাবি স্ট্যাটাসও দেন অনেকে। তবে শিক্ষার্থীদের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে শিক্ষাবোর্ড।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2