avertisements 2

‘সময় এসে গেছে, লোকজন বিমানবন্দরে গিয়ে ধরা খাচ্ছে’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ মে,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৪৮ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘সময় কিন্তু এসে গেছে। পালানো শুরু হয়ে গেছে। কিছু কিছু লোক এর আগেও বিমানবন্দরে গিয়ে ধরা খেয়েছে, এখনো ধরা খাচ্ছে।’ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে’ এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলা প্রসঙ্গে আব্বাস বলেন, ‘ওখানে কিন্তু ছাত্রলীগ ও যুবলীগ উত্তম-মধ্যম খেয়ে ফেরত এসেছে।

রেদোয়ানের ওখানে হামলা হয়েছে, সেখানে উত্তম-মধ্যম খেয়ে ফেরত এসেছে। ভিপি জয়নাল আবেদীনের ওখানে হামলা হয়েছে, সেখানেও উত্তম-মধ্যম খেয়ে ফেরত এসেছে। অর্থাৎ প্রতিরোধ শুরু হয়ে গেছে। এখন আমাদেরকে প্রত্যাঘাত করতে হবে।’

সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘সময় কিন্তু এসে গেছে। এখন থেকে আমরা আর মিছিল-মিটিংয়ের অনুমতি নেব না। এখন থেকে আমরা কোনো অনুমতির তোয়াক্কা করব না। মনে রাখবেন, শুরু কিন্ত হয়ে গেছে। পালানো শুরু হয়ে গেছে। কিছু কিছু লোক এর আগেও বিমানবন্দরে গিয়ে ধরা খেয়েছে, এখনো ধরা খাচ্ছে। যেতে ও বেরোতে পারছে না।’

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে এদেশের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে বললেন- রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কোনো রকম বাধা দেওয়া হবে না। এই কথার ঠিক পরের দিন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে হামলা করা হলো!

এরপর রেদোয়ান আহমেদের গাড়িতে হামলা করা হলো। দেশের ১০ থেকে ১২টি জায়গায় হামলা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলার পরে এ ধরনের ঘটনা কী করে ঘটে? প্রধানমন্ত্রীরর আদেশ, নির্দেশ এবং অনুরোধের পরে এ ধরনের ঘটনা ঘটল। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কিংবা চোর-বাটপার এবং লুটেরা কেউ আজকে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনেন না।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2