‘পুলিশের অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে পুরো ঢাকা শহর বিএনপির দখলে’
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:২০ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:২১ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
আজকে পুলিশের অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে পুরো ঢাকা শহর বিএনপির দখলে। আপনারা এভাবে কি আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে পারবেন? জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দলের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের উদ্দেশে একথা বলেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে এই সমাবেশ শুরু হয়। বিএনপির এই সমাবেশ ঘিরে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়, আবদুল গনি সড়ক, কদম ফোয়ারা ও সেগুনবাগিচা এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে বিপুল পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। সীমিত করা হয় চলাচল। তবে শেষ হয় দুপুর একটার দিকে।
পুলিশের এই ব্যারিকেডের কড়া সমালোচনা করেন আবদুস সালাম। এই সরকারকে আর নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া হবে না হুশিয়ারি দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য আমানউল্লাহ আমান বলেন, আর আগের রাতে ভোট ডাকাতির সুযোগ দেওয়া হবে না। তার আগেই এই সরকারকে বিদায় করা হবে।
জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করলে হাত পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে বলেও হুশিয়ারি দেন আমান। আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবিত নেই। খালেদা জিয়া বন্দি। তারেক রহমান দেশের বাইরে। এ কারণে মনে করেছেন সুযোগ পেয়ে গেছেন? না, সুযোগ পান নাই। দয়া করে মনে রাখবেন, বিএনপির হচ্ছে সেই গরম পানি, যে গরম পানি নরম ডিমকে শক্ত করে আর শক্ত আলুকে নরম করে। যা করা দরকার আমরা তাই করব, ইনশাআল্লাহ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও শহিদুল ইসলাম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা নিপুন রায়, স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুইয়্যা, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচি সফল করতে বুধবার সকাল থেকেই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিলসহ প্রেসক্লাবে জড়ো হতে শুরু করেন। সমাবেশ শুরুর পর থেকেই নেতাকর্মীদের প্রেস ক্লাবের সামনে প্রবেশ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। পরিচয় নিশ্চিত হয়ে সমাবেশস্থলে আসতে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তাঁর রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।